হায়দরাবাদ: বিজয় হাজারে ট্রফিতে (Vijay Hazare Trophy) দিল্লির বিরুদ্ধে জয় দিয়ে নিজেদের অভিযান শুরু করল বাংলা। ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা। দলের হয়ে অপরাজিত শতরানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন অভিষেক পোড়েল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ২৭৪/৪। বাংলার বোলারদের মধ্যে মুকেশ কুমার একাই ৪ উইকেট নেন।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন প্রিয়াংশ আর্য ও বৈভব কান্ডপল। প্রথমজন মাত্র ৪ রানে ফিরলেও, দ্বিতীয় জন ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনটি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। যশ ধূল ৮ রান করে প্যাভিলিয়ন ফেরেন। দিল্লির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি ৫৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন পাঁচটি বাউন্ডারির সাহায্যে। হিম্মত সিংহ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ও লোয়ার অর্ডারে বড় রান করেন অনুজ রাওয়াত। ৬৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংসে তিনি ৯টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান বোর্ডে তুলে নেয় দিল্লি। বাংলার বোলারদের মধ্যে মুকেশ তাঁর ১০ ওভারের স্পেলে ৬৬ রান খরচ করে ৪ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সায়ন ঘোষ ও কৌশিক মাইতি।
বাংলার হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন উইকেট কিপার ব্যাটার অভিষেক পোড়েল ও করণ লাল। অভিষেক ১৩০ বলে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন। ১৮টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে। তিনিই মূলত জয়ের ভিতটি গড়ে দেন। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক সুদীপ ২৩ রান করেন ও অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৪১.৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলা।
বাংলা তাঁদের অভিজ্ঞ পেসার মহম্মদ শামিকে দলে নেয়নি টুর্নামেন্টে। মুস্তাকে ও রঞ্জিতে কয়েকটি ম্য়াচে খেলেছিলেন শামি। কিন্তু বিজয় হাজারেতে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ফের। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালেই চোট পেয়েছিলেন। এরপর এনসিএতে কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। অস্ত্রোপচারের পর রিহ্যাব সেরে ফিরেছেন। বাংলার জার্সিতে নেমে নজরও কেড়েছেন। অনেকেই মনে করছিলেন যে বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় স্কোয়াডে ঢুকে পড়বেন ডানহাতি এই অভিজ্ঞ পেসার। কিন্তু বোর্ড এক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। আদৌ পুরোপুরি ফিট হয়েছেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ঘোষিত বাংলা দলে শামির নাম নেই। পরে সিএবির তরফে জানানো হল যে শামিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।