করাচি: বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) শাসাচ্ছেন প্রতিপক্ষের পেসার। এমন ছবি খুব একটা দেখা যায় না। তার ওপর যদি ভারত-বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ হয়, তবে তো বিরাটের ব্যাট  যে জ্বলে উঠবে তা সবাই জানে। টি-টোয়েন্টি হোক বা ওয়ান ডে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামলেই কোহলির ব্যাটে রানের ফুলঝুরি দেখা যায়। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় ঠিক উল্টোটাই না কি হয়েছিল। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ১০৭ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সেই ম্যাচে পাক পেসার সোহেল খানের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন বিরাট। 


ঠিক কী হয়েছিল?


সোহেল খান পাকিস্তানের জাতীয় দলের খুব বড় কোনও নাম নয়। তবে ভারতের বিরুদ্ধে সেদিনের ম্যাচে বিরাট কোহলির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন। এক পডকাস্ট চ্য়ানেলে তিনি বলেন, ''সেই ম্যাচে বিরাট আমার কাছে এসে জানায় যে মাত্র কিছুদিন হল তুমি ক্রিকেটে এসেছ। কেন এখনই এত উড়ছ। আমি তখন তাঁকে বলি যে তুমি যখন অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটার ছিল, তখন আমার টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয় গিয়েছে।''


https://www.youtube.com/watch?reload=9&time_continue=557&v=CfzCPfdlrOo&embeds_euri=https%3A%2F%2Fwww.hindustantimes.com%2Fcricket%2Fbeta-jab-tu-u19-khel-raha-tha-na-tera-baap-test-player-tha-pakistan-pacer-s-controversial&source_ve_path=MzY4NDIsMjM4NTE&feature=emb_title


সোহেল জানিয়েছেন যে ২০০৬-০৭-এ তিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু টেস্টে অভিষেক হয় সোহেের ২০০৯ সালে। যদিও বেশিদিন জাতীয় দলের খেলেননি তিনি। দেশের জার্সিতে ৯টি টেস্ট, ১৩টি ওয়ান ডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সোহেল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ৫১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। ২০১৭ সালে শেষবার পাকিস্তানের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন। যদিও অফিশিয়ালি এখনও পর্যন্ত অবসর নেননি সোহেল।


ধোনির ভূমিকায় হার্দিক


হার্দিক জানান ধোনির ভূমিকায় খেলতে হলে যদি তাঁর স্ট্রাইক রেটে তার প্রভাব পড়ে, তাতেও কোনও সমস্যা নেই। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে হার্দিক বলেন, 'ওই ভূমিকায় খেলতে হলে হয়তো আমার স্ট্রাইক রেট কমে আসবে। নতুন ভূমিকা বা নতুন দায়িত্ব নিতে আমি কখনই পিছুপা হইনি। একদা মাহি যে ভূমিকায় খেলতেন ওই ভূমিকায় যদি আমায় একান্তই খেলতে হয়, তাহলে আমার কোনওরকম অসুবিধা নেই।'


পান্ড্যর মতে তিনি আর চাপের মুখে বিব্রত হন না এবং ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে জেতাতেও তিনি শিখেছেন। এই ভূমিকায় তো একদা মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখা যেত। অভিজ্ঞতাই হার্দিককে চাপের মুখেও ভেঙে না পড়ার শক্তি জুগিয়েছে বলে দাবি তাঁর। হার্দিক বলেন, 'আমি যে ছয় মারতে পছন্দ করি, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমাকে তো সময়ের সঙ্গে বদলাতেই হবে, এটাই তো জীবন। আমায় পার্টনারশিপ গড়ায় মন দিতে হবে। অপর ব্যাটারকে আশ্বাস দিতে হবে যে আমি অপর প্রান্তে রয়েছি। আমি এখানের বাকি সকলের থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছি। তাই আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তার থেকেও বড় কথা হল, চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয়, আমি সেটা শিখেছি।'