কলকাতা: দিনকয়েক আগেই রামধনুর দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় মহিলাদের প্রথম অনুর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ICC U19 T20 WC) জিতেছে ভারতীয় দল। শেফালি ভার্মার নেতৃত্বাধীন সেই দলের অংশ ছিলেন তিন বঙ্গকন্যা তিতাস সাধু (Titas Sadhu), হৃষিতা বসু (Hrishita Bose) ও রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। গতকালই বিসিসিআইয়ের তরফে আমদাবাদে গোটা দলকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। এবার ঘরে ফিরলেন বঙ্গকন্যারা। 


পরবর্তী লক্ষ্য


বিশ্বজয়ের পর ঠিক কী বদল ঘটল, এই প্রশ্নে হৃষিতার সহজ জবাব, 'এর আগে আমায় কেউই চিন্তা না। তবে বিশ্বজয়ের পর এখন লোকজন আমায় চিনেছেন। বদল বলতে এইটুকুই।' অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বজয় করা হয়ে গিয়েছে। এরপরে পাখির চোখ সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়। ভারতীয় দল যে এখনও সিনিয়রদের বিশ্বকাপ জেতেনি সেকথা মনে করিয়ে দিলেও হৃষিতার আশা এবার সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। পাশাপাশি নিজের আগামী লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, 'আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য আইপিএলে ভাল পারফর্ম করা। এর পাশাপাশি ২০২৫ সালে ভারতে যে সিনিয়রদের বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে, সেই বিশ্বকাপ খেলতে চাই এবং জাতীয় দলের হয়ে টুর্নামেন্ট জিততেও চাই।' 


বিশেষ স্বীকৃতি


এদিন বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। অবশ্য ঋষিতা ও তিতাস কলকাতায় ফিরলেও, ফেরেননি রিচা। তিনি ভারতীয় সিনিয়র দলে যোগ দেবেন বলেই আর কলকাতায় ফিরতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপজয়ী তিন কন্যাকে বিশেষ স্বীকৃতি দিচ্ছে বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, তিন ক্রিকেটারকে ১০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।


বুধবার সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলে তিনজন বঙ্গকন্যা, এটা আমাদের কাছে সত্যিই গর্বের মুহূর্ত। তিতাস, রিচা ও হৃষিতা বাংলার ক্রিকেটের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ওরা আরও অনেক সাফল্য এনে দেবে বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেটকে। ওদের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেব আমরা।'


শাহবাজের লড়াই


তিনি বাংলার 'ক্রাইসিস ম্যান'। গত কয়েক মরসুম ধরে যখনই বাংলার (Bengal Ranji Team) ব্যাটিং চাপে পড়েছে, তিনি উদ্ধারকর্তা হয়ে হাজির হয়েছেন। টেল এন্ডারদের নিয়ে ইনিংসকে টেনেছেন। যার অন্যথা হল না রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালেও। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াকু ৮১ রান করলেন শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed)। ১২০ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও জোড়া ছক্কা। বাঁহাতি ব্যাটারই বাংলার সর্বোচ্চ স্কোরার। শাহবাজের ব্যাটিং বিক্রমে বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলল ৩২৮ রান। ঝাড়খণ্ডের চেয়ে ১৫৫ রানের লিড নিল বাংলা (Ben vs Jha)। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালের দিকে আরও এক কদম এগিয়ে গেলেন মনোজ তিওয়ারিরা।


আরও পড়ুন: ৩৭ বছরের অপেক্ষার অবসান? কাশ্মীরে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ?