India vs Australia Live: ২৩৮ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার লড়াই, পারথে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় টিম ইন্ডিয়ার
IND vs AUS 1st Test: পারথে প্রথম টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন সাত উইকেট, অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে আরও ৫২২ রান।
অ্যালেক্স ক্যারির উইকেট ভাঙলেন হর্ষিত রানা। ২৩৮ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ২৯৫ রানে জিতল ভারতীয় দল।
চা বিরতির আগে নিজের ওভারের চতুর্থ বলে স্টার্ককে ফিরিয়েছিলেন সুন্দর, ষষ্ঠ বলে ন্যাথান লায়নকেও আউট করলেন তিনিই। ৫৫ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২২৯/৯।
প্রথম ইনিংসে শতাধিক বল খেলেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালই দেখাচ্ছিল তাঁকে। তবে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ১২ রানে ফিরতে হল মিচেল স্টার্ককে। ব্য়াট-প্যাডে দুরন্ত ক্যাচ ধরলেন ধ্রুব জুরেল।
৫০ ওভার শেষ। অজ়িদের হয়ে ক্রিজে উপস্থিত দুই বাঁ-হাতি ক্যারি ও স্টার্ক। বর্তমান স্কোর ২১১/৭।
প্রথম টেস্ট উইকেট পেলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। বল মিচেল মার্শের ব্যাটে লেগে তাঁরই উইকেট ভেঙে দেয়। ১৮২ রানে সপ্তম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
গতকালই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। পারথে ম্যাচ চলাকালীনই নেটে অনুশীলনেও নেমে পড়লেন রোহিত শর্মা। তাঁকে ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে নিজের অনুশীলন সারতে দেখা যায়।
বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করা ট্র্যাভিস হেডকে ৮৯ রানে ফেরালেন যশপ্রীত বুমরা। ভাঙল ৮২ রানের পার্টনারশিপ। ১৬১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
লাঞ্চের আগে কিছুটা দেখে শুনে খেলছিলেন। তবে লাঞ্চের পর মিচেল মার্শও বেশ আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাট করছেন। ছক্কা হাঁকিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫০- রানের পার্টনারশিপ পূরণ করলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান স্কোর ১৩৫/৫। মার্শ ২৮, হেড ৭১ রানে ব্যাট করছেন।
দীর্ঘ সময় লড়াই চালাচ্ছিলেন। তবে শেষমেশ মহম্ম সিরাজের শিকার হলেন স্টিভ স্মিথ। তবে অপরদিকে, পরিস্থিতি বুঝে কিন্তু প্রতিআক্রমণ চালাচ্ছেন ট্র্যাভিস হেড। তাঁর সুবাদেই শতরানের গণ্ডি পার করে গেল অস্ট্রেলিয়া। হেড ৭২ বলে ৬৩ রানে ব্যাট করছেন। লাঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১০৪/৫।
স্টিভ স্মিথ ডিফেন্স পরাস্ত করে তাঁর প্যাডে বল মারতে সক্ষম হয়েছিলেন হর্ষিত রানা। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউও নেয় ভারতীয় দল। তবে তাতে লাভের লাভ হয়নি। রিভিউ নষ্টই হয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪৮/৪।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য। দ্বিতীয় সাফল্য পেলেন মহম্মদ সিরাজ। চার রানে উসমান খাওয়াজাকে ফেরালেন তিনি। জয়ের লক্ষ্যে দারুণভাবে দিনের শুরু করল ভারত। বর্তমানে অজ়িদের স্কোর ১৯/৪।
পারথে ম্যাচ জেতার জন্য ৫৩৪ রান করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে একেবারে শেষবেলায় ব্যাটে নেমে মাত্র ১২ রান বোর্ডে তুলেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে অজ়িরা।
পারথে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাট হাতে কেএল রাহুল, যশস্বী জয়সওয়ালের অনবদ্য দুই ইনিংসের পর দেখা গেল 'কিং'-র শাসন। কেরিয়ারের ৩০তম টেস্ট শতরান হাঁকালেন বিরাট কোহলি। দিনের শেষবেলায় আবার যশপ্রীত বুমরা দুই উইকেট নিলেন। ম্যাচে সাত উইকেট হয়ে গেল তারকা বোলারের।
প্রেক্ষাপট
পারথ: প্রথম টেস্টের (IND vs AUS 1st Test) তৃতীয় দিনের শেষেবেলায় উইকেট বাঁচানোর জন্য প্যাট কামিন্সকে নাইট ওয়াচ ম্যান হিসাবে নামিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স তো টিকতে পারলেনই না, মাত্র তিন রানে যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন মার্নাস লাবুশেনও। এর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হল দিনের খেলা। রবিবাস দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তিন উইকেটের বিনিময়ে ১২ রান।
যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভারতীয় দল ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ৪৮৭ রান তুলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুবিশাল ৫৩৪ রানের লক্ষ্য রাখে ভারতীয় দল। এই বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভাল শুরুটা করা প্রয়োজন ছিল। তবে ন্যাথান ম্যাকসোয়েনি ইনিংসের প্রথম ওভারেই বুমরার বলে সাজঘরে ফেরেন। রিভিউ নিয়েও লাভের লাভ হয়নি। খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় এই ম্যাচে অভিষেক ঘটানো তারকাকে। এরপরে সিরাজ দুই রানে কামিন্সকে ফেরান। দিন শেষ হওয়ার আগে লাবুশেনকেও তিন রানে এলবিডব্লু আউট করেন বুমরা।
ভারতের হয়ে দিনের শুরুটা করেন কেএল রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। বিনা উইকেটে ১৭২ রান থেকে দিনের শুরুটা করেন দুই ভারতীয় ওপেনার। দুই তারকাই শুরু থেকে বেশ আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাটিং করেন। গতকাল ৯০ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছিলেন যশস্বী। নিজের প্রথম টেস্ট খেলছেন অস্ট্রেলিয়াতে। সেই ম্যাচেই শতরানের হাতছানি, সাধারণত যে কোনও তরুণ তুর্কিরই একটু নার্ভাস থাকার কথা। কিন্তু বিন্দুমাত্র তেমনটা দেখা গেল না। হ্যাজেলউডের বলে আপার কাটে ছয় মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করাটা সেই আত্মবিশ্বাসেরই পরিচয় দেন। এক দশক আগে এই ম্যাচে যশস্বীর ওপেনিং পার্টনার কেএল রাহুল সিডনিতে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেটাই ছিল অজ়িভূমে কোনও ভারতীয় ওপেনারের শেষ সেঞ্চুরি। তার এক দশক পর আবারও কোনও ভারতীয় ওপেনার সেঞ্চুরি করলেন।
রাহুলের ও যশস্বী প্রথম ভারতীয় ওপেনিং জুটি হিসাবে দু'শো রানের পার্টনারশিপও করে ফেলেন। তবে তারপরেই রাহুলকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। ৭৭ রানে নজরকাড়া ইনিংস খেলে ফেরেন রাহুল। রাহুলের আউট হওয়ার পরেই ক্রিজে ব্যাটল করতে নামেন আরেক তরুণ বাঁ-হাতি ব্যাটার দেবদত্ত পাড়িক্কাল। রাহুলের উইকেট হারালেও ভারতীয় দলের ওপর তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। পাড়িক্কালকে ব্যাটে নেমে বেশ ভাল ছন্দেই দেখা যায়। কিন্তু লাঞ্চের পর প্রথম বলেই তিনি ফেরেন।
এরপর প্রবল জনগর্জনে মাঠে নামেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যশস্বী ও কোহলির পার্টনারশিপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। যশস্বীকে ১৬১ রানে মিচেল মার্শ। এরপরেই তিন ওভারের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারায় ভারতীয় দল। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর ও কোহলি ইনিংসের দায়ভার সামলান। দুইজনে মিলে ভারতের ইনিংসকে ৪০০ পার করান। সুন্দর আউট হলে ভারতীয় দলের রানের গতি কমার বদলে আরও বেড়ে যায়। নীতীশ রেড্ডি শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলছিলেন। কোহলিও ইনিংস ঘোষণার সময় কাছে আসছে দেখে দ্রুত গতিতে রান করতে শুরু করেন।
শেষমেশ চার মেরে নিজের শতরান পূরণ করেন কোহলি। তারপরেই ইনিংস ঘোষণা করে ভারতীয় দল। ২৭ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন নীতীশ। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে খুব আহামরি কিছু না হলে ভারতের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা প্রবল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -