মেলবোর্ন: তৃতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হল, তখনও ভারত বক্সিং ডে টেস্টে (Boxing Day Test) প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১১৬ রানে পিছিয়ে। হাতে ছিল ১ উইকেট। এদিন সকালে কত দ্রুত বোর্ডে কিছু রান যোগ করা যায় সেই লক্ষ্যই ছিল নীতীশ রেড্ডি ও মহম্মদ সিরাজের। সেই মত এদিন শেষ উইকেটে আরও ১১ রান যােগ করলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ১১৪ রান করে শেষ উইকেট হিসেবে প্যাভিলিয়ন ফিরলেন রেড্ডি। শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৬৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শেষ করে ভারতীয় দল।
নীতীশ রেড্ডি ১১৪ রানের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। নাথান লিঁয়র বলে মিচেল স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো নীতীশ। অন্যদিকে সিরাজ ৪ রানে অপরাজিত থেকে যান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন কনসটাস ও খাওয়াজা। বছর ১৯-এর কনসটাস প্রথম ইনিংসে বুমরাকে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। সুইচ হিটে সেই ছক্কা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরু থেকেই বারবার অজি ওপেনারকে সমস্যায় ফেলছিলেন বুমরা। এই ইনিংসে একেবারেই তাঁকে হাত খোলার সুযোগ দেননি বিশ্বের এক নম্বর বোলার। এমনকী শেষ পর্যন্ত তাঁর মিডল স্টাম্পও ছিটকে দেন বুমরা। ১৯ বছরের তরুণ ওপেনার বুমরার হঠাৎ কর ঢুকে যাওয়া বলটা বুঝতেই পারেননি। তাঁকে আউট করার পর সেলিব্রেশনেও সেই কনসটাসকেই মিমিক করলেন বুমরা। মেলবোর্নের দর্শকদের উদ্দেশ্যে বিরাটের আউটের পর যেমন সেলিব্রেশন করেছিলেন অজি ওপেনার, ঠিক সেটাই যেন ফিরিয়ে দিলেন বুমরা। বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন বিশ্বের এক নম্বর।
শনিবার কৌতূহল তৈরি হয় নীতীশের সেঞ্চুরির পরে সেলিব্রেশন নিয়ে। স্কট বোল্যান্ডকে মিড অনের ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েই নীতীশ হেলমেট খুলে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। তারপর ব্যাটকে তলোয়ারের মতো মাটিতে ঠুকে দাঁড় করিয়ে তার ওপর হেলমেট পরিয়ে দেন। আকাশের দিকে আঙুল তুলে ইঙ্গিত করেন। যেন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। এই অভিনব সেলিব্রেশনের কারণ কী ? কী-ই বা বোঝাতে চেয়েছেন নীতীশ কুমার রেড্ডি ? কারণ ব্যাখ্যা করে দিলেন অন্ধ্র প্রদেশের অলরাউন্ডার নিজেই। নীতীশ বলেছেন, 'আমার সেঞ্চুরির পর আমি ব্যাট রেখে তার ওপর হেলমেট পরিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ, হেলমেটে ভারতীয় পতাকা লাগানো ছিল। এভাবে আমি জাতীয় পতাকাকে কুর্নিশ করছিলাম। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় প্রেরণা আর কিছু হয় না। এটা স্মরণীয় এক মুহূর্ত।'