কলকাতা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) হস্তক্ষেপে অবশেষে কাটল জট। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ইডেনে শুরু হল প্রথম ডিভিশন লিগের ফাইনাল ম্যাচ। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় যে ওভার নষ্ট হয়েছে, সেই ঘাটতি মেটানোর জন্য রাতের দিকে বাড়তি সময় ম্যাচ করা হতে পারে বলে খবর।
কী হয়েছিল ইডেনে?
প্রথম ডিভিশনের লিগ ফাইনালে ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুর ক্লাব। ফাইনাল ম্যাচ হচ্ছে গোলাপি বলে ও নৈশালোকে। প্রথমে ব্যাট করছে ভবানীপুর ক্লাব। রবিবার ম্যাচের প্রথম দিন ৮৩ ওভার ব্যাট করে ভবানীপুর ক্লাব তুলেছিল ২৫৭/৩। শাকির হাবিব গাঁধী ১০২ রানে ক্রিজে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন অরিন্দম ঘোষ।
সোমবার নির্ধারিত সময়ে, দুপুর ১টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার পর মাত্র ২ বল খেলা হয়। দ্বিতীয় বলেই তুমুল বিতর্ক। ইস্টবেঙ্গলের বাঁহাতি পেসার কণিষ্ক শেঠ বল করছিলেন। তাঁর বলে স্লিপে শাকির হাবিব গাঁধীর ক্যাচ ধরেন সন্দীপন দাস। আম্পায়ার ব্যাটারকে আউট দিয়ে দেন বলে অভিযোগ ইস্টবেঙ্গল শিবিরের। লাল-হলুদ শিবিরের আরও অভিযোগ, ভবানীপুরের ব্যাটার শাকির হাবিব গাঁধী মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে স্কোয়্যার লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত বদল করেন বোলিং প্রান্তে থাকা আম্পায়ার। তিনি তখন জানান, ক্যাচ ঠিক মতো ধরা হয়নি। ব্যাটার নট আউট।
তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তারা। তাঁরা দল তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। ভবানীপুরও জানিয়ে দেয় যে, আম্পায়ারের যদি মনে হয় ব্যাটার নট আউট তা হলে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। যা নিয়ে শুরু হয় বচসা। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় দুই শিবিরের সঙ্গে কথা বললেও জট কাটেনি।
এরপর ইডেনে আসেন সৌরভ। তিনি দুই ক্লাবের সঙ্গেই জরুরি বৈঠক করেন। সৌরভের কথায় অবশেষে বরফ গলে। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ খেলতে রাজি হয়। শাকির হাবিব গাঁধীকে নট আউট দেওয়া হয়।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর, সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিটে ফের শুরু হয়েছে ফাইনাল ম্যাচ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯১ ওভারে ভবানীপুর ক্লাবের স্কোর ২৭৫/৪। ৫৭ রান করে ফিরে গিয়েছেন অরিন্দম ঘোষ। ১০৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন শাকির হাবিব গাঁধী। সঙ্গী বিবেক সিংহ। পাঁচদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সোমবার।