বেঙ্গালুরু: শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বরই নিজের শতরান পূরণ করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে দুরন্ত এক দ্বিশতরানের পথে অগ্রসর যশ রাঠৌরের (Yash Rathod) দৌড়ে ঠিক মাইলফলকের আগেই থামল। ১৯৪ রানে গুরজনপ্রীতের বলে থামল বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটারের ইনিংস। তবে গুরজনপ্রীত, অঙ্কিতরা ১২৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে দলীপ ট্রফির ফাইনালে (Duleep Trophy 2025) তৃতীয় দিনে মধ্যাঞ্চলকে দ্রুত অল আউট করতে সক্ষম হলেও, দিনের খেলা শেষে তাঁদের দল বেশ চাপে। মধ্যাঞ্চল ম্যাচে এখনও ২৩৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে। 

৩৮৪ রানে পাঁচ উইকেট থেকে দিনের খেলা শুরু করেছিল মধ্যাঞ্চল। গতকাল রজত পাতিদারের সঙ্গে ১৬৭ রানের পার্টনারশিপ পর ষষ্ঠ উইকেটে সারাংশ জৈনের সঙ্গেও সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন যশ। দুইজনে মিলে ১৭৬ রান যোগ করেন। অঙ্কিত শর্মার বলে সারাংশ ৬৯ রানে আউট হলেও,  আটে নেমে দীপক চাহার কিন্তু যশকে যোগ্য সঙ্গ দেন। দুইজনে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়েন। পাঁচশোর গণ্ডিও পার করে মধ্যাঞ্চল। তবে যশ আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভাঙে লোয়ার অর্ডার।

 

১১ রানে শেষ চার উইকেট হারিয়ে ৫১১ রানেই অল আউট হয়ে যায় রডত পাতিদারের নেতৃত্বাধীন দল। গুরজনপ্রীত ও অঙ্কিত চারটি করে উইকেট নেন। হতাশাজনক প্রথম ইনিংসের পর এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচে ফেরার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের শুরুটা ভালভাবে করার প্রয়োজন ছিল। তন্ময় আগরওয়াল ও মোহিত কালে, দুই ওপেনার তেমনটা করতে সক্ষমও হন। তবে দুইজনের কেউই অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। তন্ময় ২৬ রানে ফেরান কুলদীপ। মোহিত সারাংশের বলে ৩৮ রানে আউট হন।

১৪ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে আবার হয়তো প্রথম ইনিংসের মতোই কিছুর আশঙ্কা করছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের অনুরাগীরা। তবে রিকি ভুঁই ও স্মরণ দলের হয়ে রুখে দাঁড়ান। দিনের শেষ পর্যন্ত দল যাতে আর কোনও উইকেট না হারায়, তাঁরা তা নিশ্চিত করেন। দুইজনে যথাক্রমে ২৬ ও ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রায় চার রান প্রতি ওভারে রান তোলে দক্ষিণাঞ্চল। দল দুই উইকেটে ১২৯ রান তুলে দিন শেষ করে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত যে ম্যাচের রাশ মধ্যাঞ্চলের হাতে, তা বলাই বাহুল্য।