মুম্বই: নিজে নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলে খেলেছে দীনেশ কার্তিক। তাঁর নেতৃত্বেই আইপিএলের মঞ্চে অভিষেক হয়েছিল তামিলনাড়ুর রহস্য স্পিনারের। এরপর থেকে নাইট শিবিরের সদস্য বরুণ চক্রবর্তী। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু  সেবার জ্বলে উঠতে পারেননি। ফের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। গত আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্সের পর ফের জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেই সিরিজে দুটো ম্য়াচেই বরুণের বোলিংয়ের সামনে রীতিমত নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটারদের। দ্বিতীয় ম্য়াচে তো রবিবার একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বরুণ। এবার ডানহাতি এই তামিল স্পিনারের হয়ে গলা ফাটালেন কার্তিক। তাঁকে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতীয় দলে ঢোকার অন্য়তম দাবিদার বলেও মনে করেন কার্তিক। 


নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বরুণের নাম উল্লেখ করেছেন কার্তিক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ''যদি বরুণ চক্রবর্তীকে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে না ভাবা হয়, তবে তা বিশাল ভুল করবে বিসিসিআই। ও একজন দুর্দান্ত বোলার হয়ে উঠেছে।'' রোহিত, গম্ভীর ও নির্বাচকদের প্রতিই যে কার্তিকের এই বার্তা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


 






গতকাল প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেটে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি বরুণ চক্রবর্তী। পূর্ণ সদস্যের কোনও দলের কোনও বোলার এমন বোলিং করার পর হারতে হয়নি তাঁর দলকে। মুস্তাফিজুর রহমানের ২২ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নিয়েও পরাজিত দলের সদস্য হওয়ার রেকর্ড ভাঙলেন বরুণ। প্রথম ম্য়াচেও ৩ উইকেট তুলেছিলেন। 


মাত্র ১২৫ রানের পুঁজি ছিল ভারতের সামনে।  জেরাল্ড কোয়েৎজ়া ও ট্রিস্টান স্টাবসের দুরন্ত পার্টনারশিপে এক ওভার বাকি থাকতেই শেষমেশ তিন উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চার ম্য়াচের সিরিজ়ও ১-১ করে ফেলল প্রোটিয়ারা। তবে বরুণ প্রথম সাত উইকেট যত দ্রুত পড়েছিল, একটা সময় মনে হচ্ছিল যে অতি সহজেই হয়ত জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু সেখান থেকেই অর্শদীপ সিংহের শেষ ২ ওভারে ক্রমাগত মারমুখি ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দেন কোয়েৎজে ও স্টাবস।