বেঙ্গালুরু: সকলের নজর ছিল যশস্বী জয়সওয়াল ও শ্রেয়স আইয়ারের দিকে। এশিয়া কাপের দলে দুজনই জায়গা পাননি। ছন্দে থাকা সত্ত্বেও উপেক্ষিত হয়েছেন। দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে খেলছেন দুজনই।
তবে মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে দলীপ সেমিফাইনালে ব্যর্থ যশস্বী ও শ্রেয়স। পশ্চিমাঞ্চলের প্রথম ইনিংসে রান পেলেন না তাঁরা। দুই ক্রিকেটারের ব্যর্থতার দিনে নজর কাড়লেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। আইপিএলে যিনি চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক। কিন্তু চোটের কারণে গত আইপিএলে কার্যত পুরোটাই খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে সিএসকে-র নেতৃত্ব দেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তবে লাল বলের ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে রুতুরাজ। দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে ১৮৪ রানের ইনিংস খেললেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি পশ্চিমাঞ্চলের। ওপেনার যশস্বীর ক্রিজে আয়ু ছিল মাত্র তিন বল। একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। খলিল আমেদের একটি ভিতরে ঢুকে আসা বলে এলবিডব্লিউ হন যশস্বী। ইংল্যান্ড সিরিজেও ভিতরে ঢুকে আসা বলে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। ফের সেই সমস্যায় বিদ্ধ হলেন।
তবে রুতুরাজ ২০৬ বলে ১৮৪ রান করে নজর কেড়ে নিলেন। শ্রেয়স-যশস্বীর ব্যর্থতাও ঢেকে দিলেন অনেকটাই। পশ্চিমাঞ্চলের ইনিংসকে একার কাঁধে টেনেছেন। তনুশ কোটিয়ান ৬৫ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। প্রথম দিনের শেষে পশ্চিমাঞ্চলের স্কোর ৩৬৩/৬।
দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উত্তারঞ্চলের অধিনায়ক অঙ্কিত কুমার। কিন্তু অংশুল কম্বোজ, আকিব নবিদের বিরুদ্ধে বড় রান তোলার পথে দক্ষিণাঞ্চল । ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১০৩ রানের জুটি গড়েন তন্ময় আগরওয়াল ও নারায়ন জগদীশন। ৪৩ রান করেন তন্ময় । এর পরে ইনিংসের হাল ধরেন জগদীশন ও দেবদত্ত পাড়িক্কল । ১২৮ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ৭১ বলে ৫৭ রনে ফেরেন দেবদত্ত। তবে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেননি জগদীশন । ২৬০ বলে ১৪৮ রানে অপরাজিত তিনি। প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণাঞ্চলের স্কোর ৩ উইকেটে ২৯৭ রান ।