কলকাতা: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টােয়েন্টি সিরিজে ফের তরুণ দল নিয়ে মাঠে নামতে চলেছেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। একাধিক তরুণ মুখ। যাঁরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টােয়েন্টি ফর্ম্য়াটে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফর্ম করে আসছেন। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য অভিষেক শর্মা। তরুণ এই ওপেনার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্য়াচেই শতরান হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর পারফরম্য়ান্সে সেভাবে ধাাবাহিকতা তাঁর দেখা যায়নি। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া মনে করেন অভিষেকের জন্য এটাই শেষ সুযোগ হতে চলেছে। 

নিজের শেষ দুটো টি-টোয়েন্টি ইনিংসে একটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন অভিষেক। অন্য ইনিংসটিতে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। অভিষেক ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও সুযোগ পেয়েছেন। আকাশ চোপড়ার মতে, ''আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও যখন শুরু করেছিল, নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেই শতরান হাঁকিয়েছিল অভিষেক। কিন্তু এরপর থেকে প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি অভিষেক। আমার মতে ইংল্যান্ড সিরিজটা ওর জন্য শেষ সুযোগ হতে পারে নিজেকে প্রমাণ করার। যদি ও নিজেকে প্রমাণ করতে না পারে। তাহলে কিন্তু ভারতীয় দলে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটেও আমার মনে হয় জয়সওয়াল ঢুকে পড়বে।''

এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ১২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন অভিষেক। ২৫৬ রান করেছেন। ১৭১.৮১ স্ট্রাইক রেটে। একটি শতরান ও একটি অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন। তিনবার ২০ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন। অভিষেক ছাড়াও টি-টােয়েন্টি ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে রয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড, শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সূর্যকুমার যা বললেন, শুনে হতবাক সকলে। মহম্মদ শামিকে বাদ দিয়েছে ভারত। ঘরের মাঠে ডানহাতি পেসারের প্রত্যাবর্তন আটকে গেল। প্রথম একাদশে বিরাট চমক ভারতের। দলে রাখা হয়েছে রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তীকে। একজন পেসার হিসেবে দলে আছেন অর্শদীপ সিংহ। মনে করা হয়েছিল, যে মাঠে খেলে শামির উত্থান, সেই ইডেন গার্ডেন্সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন শামি। কিন্তু বুধবার বাংলার পেসারকে খেলাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়া। প্রথম একাদশে প্রধান পেসার হিসাবে রাখা হয়েছে শুধু অর্শদীপ সিংহকে। সঙ্গে পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে হার্দিক পাণ্ড্য ও নীতীশ কুমার রেড্ডি।