নয়াদিল্লি: ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। জুনিয়র ক্রিকেটে ধারাবাহিক দুরন্ত পারফরম্য়ান্স দেখে অনেকেই বলেছিলেন যে ভবিষ্যতের সচিন তেন্ডুলকর হতে চলেছেন পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw)। ২০১৮ সালে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকেই টানা কখনও ফিটনেস ইস্য়ু তো কখনও বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, নিজের কেরিয়ারের বারোটা বাজিয়েছেন নিজেই। ভারতীয় দলেও নিজের জায়গা হারিয়েছেন, এমনকী এবারের আইপিএলের নিলামেও কোনও দলই তাঁকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। শেষ মরশুম পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের সদস্য ছিলেন ডানহাতি এই তরুণ। কিন্তু দিল্লিও তাঁর দিকে একবারও নিলামে ফিরে তাকায়নি। কিন্তু কেন? 


দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রাক্তন সহকারী কোচ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ এই বিষয়ে পৃথ্বীকেই দায়ী করছেন। মুম্বই ওপেনার সুযোগের সদ্বব্যবহার করেননি বলে মনে করেন তিনি। জিও সিনেমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাইফ বলেছেন, ''দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএলে পৃথ্বীকে অনেকবার ব্যাক করেছে। ও পাওয়ার প্লে স্পেশালিস্ট ছিল। এক ওভারে ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকানোর ক্ষমতা আছে। শিবম মাভিকে এক ওভারে ছয়টি বাউন্ডারি মেরেওছিল ও। অনেক প্রতিভা ছিল। এমন অনেক সময় হয়েছে যে পন্টিং ও আমি কোনও ম্য়াচের আগে ওকে আদৌ নেওয়া হবে কি না একাদশে, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দল মাঠে নামানোর আগে ওকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দিনের পর দিন খারাপ পারফরম্য়ান্সের পরও ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছিলাম আমরা। কিন্তু ও বদলায়নি। তার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অভিযুক্ত করার কোনও মানেই হয় না।''


 






নিলামে নিজের বেস প্রাইস মাত্র ৭৫ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু আরেক তরুণ ক্রিকেটার সরফরাজ খানের মতই তাঁকেও কোনও দল নেয়নি। ২০১৮ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকে পৃথ্বী এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৭৯ টি ম্য়াচ খেলেছেন। ২৩.৯৫ গড়ে মোট ১৮৯২ রান ঝুলিতে পুরেছেন। ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি তরুণ। ঝুলিতে রয়েছে ১৪টি অর্ধশতরানও। তবুও আগামী মরশুমের আইপিএলে এই প্রতিভাবান প্লেয়ারকে দেখা যাবে না আইপিএলের মঞ্চে। ঘরোয়া ক্রিকেটেই হয়ত ফের নিজেকে প্রমাণ করে ফিরতে হবে পৃথ্বীকে।