জম্মু কাশ্মীর: ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। আইপিএলের মঞ্চ পেরিয়ে ডাক এসেছিল জাতীয় দলেও। সেখানেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন। কিন্তু শুধু গতি দিয়ে কি আর তাক লাগানো যায়? সঙ্গে চাই লাইন, লেংথও। কিন্তু উমরান মালিকের সমস্যা ছিল মূলত খারাপ লাইন লেংথই। ২০২২ সালে ভারতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে সুযোগ পেলেও বেশিদিন টিকে থাকতে পারেননি দলে। গত বছর আইপিএলেও সানরাইজা্স হায়দরাবাদ শিবিরে নিয়মিত সুযোগ আসেনি। কিন্তু আচমকা কোথায় হারিয়ে গেলেন উমরান? এবার সেই কারণ জানালেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন বোলিং কোচ পারস মামব্রে।
এক সাক্ষাৎকারে পারস মামব্রে জানান, ''আমি মনে করি প্রতিভা তৈরি করতে হবে। কারো যদি এত গতি থাকে তবে সে বিরল। তিনি যখন প্রথমবার আসেন, তখন তিনি ১৪৫-১৪৮ গতিতে বোলিং করছিলেন। আমি মুগ্ধ নই যে স্পিডগানের গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার দেখানো হয়েছে। কারণ আমি এটা ঠিক মনে করি না। আপনি বুঝতে পারেন যে গতি তার শক্তি। তিনি অবশ্যই খুব দ্রুত। একটানা ১৪০ এর উপরে বল করতে পারেন। এই গতিতে একটানা বল করা ভালো। এবং তিনি তাই করেছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি এটা করবেন? টি-টোয়েন্টিতে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে লড়াই করতে হবে। যদি একবার আপনার সঙ্গে এটি ঘটে তবে আপনি অধিনায়কের বিশ্বাস হারাবেন।''
দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচিং স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব সামলানো মামব্রে আরও বলেন, ''উমরানের জন্য রঞ্জি খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ওর একটু গাইডেন্সের প্রয়োজন। জম্মু কাশ্মীরে যে পরিকাঠামোর মধ্যে ও খেলে, সেখানে এটা সম্ভব নয়। তাই ওর সঠিক পরিকাঠামো রয়েছে এমন জায়গায় প্রস্তুতি সারা উচিত। রঞ্জিতে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাল পারফর্ম করতে পারলে ওর আত্মবিশ্বাসও আরও বাড়বে।''
বিশ্বকাপে অনবদ্য ফর্মে ছিলেন শামি। দল খেতাব হাতছাড়া করলেও, প্রথম ভারতীয় বোলার হিসাবে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন তিনি। তবে তারপরে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ়ে মাঠে ফেরার কথা থাকলেও ফিরতে পারেননি তিনি। বাধ সাধে গোড়ালি। শেষমেশ বাধ্য হয়েই ফেব্রুয়ারিতে গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করান শামি।
উল্লেখ্য, দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত উমরান মোট ১০টি ওয়ান ডে ও ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচ খেলেছেন। মোট ২৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। তার মধ্যে ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে রয়েছে ১৩ উইকেট ও টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে রয়েছে ১১ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতের যে দল ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে নতুন মুখ হিসেবে হর্ষিত রানা সুযোগ পেয়েছেন। আবার অর্শদীপ সিংহও রয়েছেন। কিন্তু সুযোগ পাননি উমরান মালিক। ফেরার লড়াইটা কিন্তু আরও কঠিন হচ্ছে তরুণ পেসারের জন্য।