সিডনি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই একের পর এক ধাক্কা অজি শিবিরে। আচমকাই ওয়ান ডে ফর্ম্য়াট থেকে অবসর নিয়েছেন মার্কাস স্টোইনিস। গত মাসেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে তাঁকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার আচমকাই পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্য়াট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। এবার পাকাপাকি ভাবেই হয়ত চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যেতে চলেছেন দলের ২ সেরা পেস অস্ত্র প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড। তার মধ্যে কামিন্স তো আবার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কও। আগেই চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন দলের তারকা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। এবার কামিন্স ও হ্যাজেলউডের খেলার সম্ভাবনাও ক্রমশ ক্ষীণও হয়ে যাচ্ছে।


মার্শ অনেক দিন আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তার জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে তাঁর জায়গা যে থাকবে না তা নিশ্চিত ছিল। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে অ্যান্ড্রু ম্য়াকডোনাল্ড জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কামিন্স ও হ্যাজেউডকে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এরই মধ্যে স্টোইনিস আচমকাই ওয়ান ডে ফর্ম্য়াট থেকে অবসর ঘোষণা করে দেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে গত মাসে। সেই দলে ছিলেন কামিন্স, হ্যাজেলউড ও স্টোইনিস তিনজনই। এই পরিস্থিতিতে এখন অস্ট্রেলিয়াকে চারজনের পরিবর্ত প্লেয়ার খুঁজতে হবে।


গোড়ালির চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন কামিন্স। বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে টানা বল করেছেন। মোট ১৬৭ ওভার বল করে ২৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সিরিজ জিততেও সাহায্য করেছিলেন। আবার মার্শ পিঠের চোটের জন্য আগেই নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন। হ্যাজলউডেরও চোট রয়েছে পিঠের পেছনে নীচের দিকে। 


স্টোইনিসের আচমকা অবসর নেওয়া কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৪টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে ওয়ান ডে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও টি-২০ খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্টোইনিস। ১০ বছরের ওয়ান ডে কেরিয়ার। ২০১৫ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হয়েছিল ওয়ান ডে অভিষেক। সেই সফরেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-২০ অভিষেকও হয়। যদিও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পরের ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল স্টোইনিসকে। ইডেন পার্কে সেই ম্যাচে ব্যাটে বলে জ্বলে উঠেছিলেন তিনি। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৬ রান করার পাশাপাশি ৩টি উইকেটও নেন। ২০১৮-১৯ সালে তিনি দেশের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন। তবে এখন তিনি টি-২০ ক্রিকেটে আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে চান।