নয়াদিল্লি: এই বছরের শেষের দিকেই ভারতে বসতে চলেছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) আসর। এর আগেও একাধিকবার ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে। তবে এই প্রথমবার সম্পূর্ণভাবে ভারতেই বসবে বিশ্বকাপের আসর। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। ২৬ নভেম্বর হবে ফাইনাল। এই আসন্ন বিশ্বকাপেই ভূস্বর্গে ফিরতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ৩৭ বছর পর ফের একবার আসন্ন বিশ্বকাপেই কাশ্মীরে আয়োজিত হতে পারে ম্যাচ।


৩৭ বছর পর ম্যাচ?


এর আগে শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর (Sher-i-Kashmir Stadium) স্টেডিয়ামে দুইবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল। তবে শেষ ১৯৮৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভারত-অস্ট্রেলিয়া এই স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল। তার বছর তিনেক আগে ১৯৮৩ সালের ১৩ অক্টোবর ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজও এই স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ খেলেছিল। যদিও দুই ম্যাচেই ভারতীয় দল পরাজিত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী আসন্ন বিশ্বকাপেই ৩৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।  


বিশ্বকাপের সূচি


আসন্ন বিশ্বকাপে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করবে। খবর অনুযায়ী টুর্নামেন্টে ৪৮টি ম্যাচ আয়োজিত হতে পারে। টুর্নামেন্টের শেষ লেগের একটি ম্যাচ শ্রীনগরে আয়োজিত হতে পারেই বলে খবর। যদি আইসিসির তরফে এখনও টুর্নামেন্টের সূচি ঘোষিত হয়নি, তবে আমেদাবাদেই বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজিত হওয়া প্রায় নিশ্চিত। ভারত এই টুর্নামেন্টেও অন্যতম ফেভারিট হিসাবেই মাঠে নামবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড, ৫০ ওভারের শেষ তিন বিশ্বকাপের তিনটিই আয়োজক দেশই জিতেছে। নাগাড়ে চতুর্থবারও সেই ঘটনাই ঘটে কি না, এখন সেটাই দেখার।


পরিস্থিতিমাফিক সিদ্ধান্তেই সাফল্য


রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্তভাবে টি-টোয়েন্টি (IND vs NZ T20I) সিরিজ জিতে নিয়েছে তরুণ ভারতীয় দল। তিন ম্যাচের সিরিজে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। ভারতীয় অধিনায়ক তিন ম্যাচে মোট ৬৬ রান করার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট নেওয়ায় সিরিজ সেরাও ঘোষিত হয়েছেন। তবে এই পুরস্কারটি তিনি দলের গোটা সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গেই ভাগ করে নিতে আগ্রহী।


ম্যাচ শেষে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়ে হার্দিক বলেন, 'সত্যি বলতে আমার এই সিরিজ সেরার পুরস্কারটা গোটা সাপোর্ট স্টাফের পাওয়া উচিত।' হার্দিক স্পষ্ট জানান পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা নয়, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ীই তিনি বরাবর সিদ্ধান্ত নেওয়া পছন্দ করেন এবং এই ফলেই সাফল্যও এসেছে। 'আমি বরাবরই ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সেই সময়ে যা করণীয়, সেই মতোই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনার ভরসায় থাকি না। অধিনায়কত্ব হোক বা জীবন, আমি একটি বিষয় সবসময় মেনে চলি, যদি আমায় হারতেই হয়, তাহলে আমি নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের দোষে হারব। তাই দিনের শেষে আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিই।' দাবি হার্দিকের।


আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়ে ১৬৮ রানে কিউয়িদের হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের