মুম্বই: লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৮৯। কিন্তু একটা সময় ১৬ রান বোর্ডে তুলতেই ৩ উইকেট খুইয়ে বসেছিল ভারতীয় দল। সেখান থেকে অনেকেই আশা করেনি যে ম্যাচ এভাবে জিতে যাবে ভারতীয় দল। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন কে এল রাহুল। টেস্ট সিরিজে ফ্লপ হয়েছিলেন। কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। চারিদিকে সমালোচিত হচ্ছেন। কিন্তু এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে ম্যাচ জেতানো অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন ডানহাতি এই কর্ণাটকী ব্যাটার। ৬১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত। এই নিয়ে টানা ৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে জয় পেল ভারত।


মাত্র ১৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় দল। ঈশান কিষাণ ও শুভমন গিল নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু ২ জনের কেউই বড় রান পাননি। মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঈশান। ২০ রান করেন গিল। বিরাট ও সূর্যকুমার যাদবও ফ্লপ হন। প্রথম জয় ৪ রান করলেও দ্বিতীয় জন খাতাই খুলতে পারেননি। তবে এরপর প্রথমে হার্দিক ও পরে জাডেজাকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন কে এল রাহুল। ক্যাপ্টেন হার্দিক ২৫ রান করে ফিরলেও জাডেজা ৪৫ রান করেন। অন্যদিকে ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রাহুল। 


এর আগে,  অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের (One Day Series) প্রথম ম্যাচে দুরন্ত বোলিং ভারতীয় বােলারদের। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে নেমে বোলার বদল থেকে ফিল্ডিং বদল সবেতেই প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ। ২ জনের নিয়ন্ত্রিত দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই মাত্র ১৮৮ রানে শেষ হয়ে গেল অজিদের ইনিংস।


টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক পাণ্ড্য। প্রথম থেকেই ভারতীয় পেস বোলারদের দাপটের সামনে মাথা নোয়ানো শুরু করেন অজি ব্যাটাররা। একমাত্র মিচেল মার্শ বাদে কেউই সেভাবে বড় রান পাননি। প্রথমেই ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ শুরুটা ভাল করেও ২২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৫ রান করেন মার্নাস লাবুশেন। জস ইংলিশ ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ক্যামেরন গ্রিন ১২ রান করেন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৮ রান করে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে কেউই সেভাবে রান না পাওয়ায় ১৮৮ রানে শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। 


ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৬ ওভারে ১৭ রান করে ৩ উইকেট তুলে নেন শামি। ৫.৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। হার্দিক পাণ্ড্য ও কুলদীপ যাদব ১টি করে উইকেট নেন। রবীন্দ্র জাডেজা ২ উইকেট নেন।