নাগপুর: পাঁচ মাস চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। তবে মাঠে ফিরেই নিজের দক্ষতা আবারও প্রমাণ করলেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। মাত্র ৪৭ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নিলেন জাডেজা। তাঁর স্পিন জুড়িদার আর অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) নিলেন তিন উইকেট।


স্পিনারদের দাপট


ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে অজিরা বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারল না। মাত্র ১৭৭ রানেই অল আউট হয়ে গেলেন প্যাট কামিন্সরা। ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। তবে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা শুরুটা একেবারেই ভালভাবে করেননি। সিরিজে নিজের প্রথম বলেই খাওয়াজাকে এক রানে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। পরের ওভারেই ওয়ার্নারকে এক রানে ফেরান শামি। দুই রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন ৮২ রানের পার্টনারশিপে অজিদের ম্যাচে ফেরান।


লাঞ্চের পর লাবুশেন-স্মিথের গড়ে দেওয়া ভিতেই বড় রান করার আশায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। পরপর বলে লাবুশেন ও ম্যাট রেনশকে সাজঘরে ফেরান জাডেজা। ৪৯ রানে আউট হন লাবুশেন। এরপর নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারি প্রতিআক্রমণাত্মক ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন বটে। তবে দ্বিতীয় সেশনে ৯৮ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অশ্বিন দুইটি ও জাডেজা চারটি উইকেট নেন। এই সেশনেই সেট স্মিথকে ৩৭ রানে ফেরান জাডেজা। 


 



 


বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ


চা বিরতির পর অস্ট্রেলিয়ার দুই উইকেটও অশ্বিন ও জাডেজা ভাগাভাগি করে নেন। ৫ উইকেট নেন জাডেজা। তিন উইকেট নিলেন আর অশ্বিন। পিটার হ্যান্ডসকাম্বও ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। তবে একাধিক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার শুরুটা ভাল করেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। এবার নজর ভারতীয় ব্যাটারদের দিকে। কেএল রাহুলের ফর্মের দিকে তো নজর থাকবেই, নজর থাকবে এই ম্যাচে টেস্ট অভিষেক ঘটানো সূর্যকুমার কুমার যাদবের দিকেও। 


আরও পড়ুন: ফের ইংল্যান্ডেই বসছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আসর, কবে আয়োজিত হবে ম্যাচ?