ইনদওর: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্টের (India vs Australia 3rd Test) প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতীয় দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা অব্যাহত। একমাত্র চেতেশ্বর পূজারা (Chesteshwar Pujara) ব্যতীত আর কোনও ব্যাটার তেমন সাফল্য পাননি। পূজারা একমাত্র ভারতীয় ব্যাটার যিনি দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করেছেন। প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ মাত্র ১৬৩। তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ জিততে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের তৃতীয় দিনে প্রয়োজন মাত্র ৭৬ রান।


হাল ছাড়ছেন না উমেশ


খুবই সামান্য রানের পুঁজি। বড় অঘটন না হলে বিশেষজ্ঞরা কেউই এই পরিস্থিতি থেকে ভারতের জয়ের আশা করছেন না। তবে আশাহত হতে নারাজ উমেশ যাদব (Umesh Yadav)। তাঁর কথায় স্পষ্ট ধরা পড়ল যে অল্প রানের পুঁজি নিয়েও টিম ইন্ডিয়া কিন্তু ম্যাচের তৃতীয় দিনে লড়াই করবেই। তিনি দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বলেন, 'ক্রিকেটে তো সবকিছুই সম্ভব। আমরা নিজেদের সর্বস্বটা উজাড় করে দেব এবং ভাল লাইন লেংথে বল করার চেষ্টা করব। এই পিচে ব্যাট করাটা একেবারেই সহজ নয়। আমাদের ব্যাটার হোক বা ওদের ব্যাটার, বিষয়টা সবার জন্যই এক। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে বড় শট মারাটা কিন্তু  একেবারেই সহজ নয়। বল তো অনেক সময় পিচে পড়ে তেমন উঠছেই না। ফলে স্টেপ আউট করার সময় একেবারেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। রানের পুঁজি ছোট বটে, তবে আমরা নির্দিষ্ট লাইন, লেংথে বল করে যতটা লড়াই করা সম্ভব, ততটা করব।'


উমেশের দাবি এই পিচে দীর্ঘক্ষণ টিকে থেকে ডিফেন্ড করাটা খুবই কঠিন। তার থেকে যতক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকা সম্ভব, ততক্ষণ রান করার লক্ষ্যেই ব্যাট করা উচিত। 'এই পিচে রান করাটা খুব কঠিন। আমার মতে এরকম উইকেটে ডিফেন্ড করতে গিয়ে আউট হওয়ার চেয়ে, রান করার উদ্দেশ্যে ব্যাটিং করাটাই উচিত। আমি যদি আগ্রাসী ব্যাটিং করে আরও ১০-২০ রান করতে পারতাম, তাহলে লিডটা ৯০-র বেশি হয়ে যেত।' দাবি উমেশের।


অলৌকিকের আশায় পূজারা


৭৫ রানের মধ্যে কি অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখা সম্ভব? অলৌকিক কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না পূজারা। বলেছেন, 'আমি জানি থেষ্ট রান হাতে নেই। কিন্তু এখান থেকেও জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের পিচে টানা রক্ষণ করতে থাকলে আচমকা একটা বল লাফিয়ে উঠে গ্লাভসে লেগে ক্যাচ উঠে যাবে।' পূজারা যোগ করেছেন, 'আলগা বল পেলেই আমি শট খেলেছি। লায়ন রাউন্ড দ্য উইকেট আসার পর ওর লাইন কিছুটা পাল্টে গিয়েছিল। অফস্টাম্প লাইনে না করে ও মিডল ও লেগস্টাম্পে বল করছিল। আমি শুধু প্রান্ত বদলে যেতে চাইছিলাম। স্কোয়্যার লেগে বল পাঠানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু উইকেট এত মন্থর যে, বলটা লেগস্লিপের হাতে চলে যায়। স্মিথ ক্যাচটা দুর্দান্তভাবে ধরেছে। আমি হতাশ। কারণ, অক্ষরের সঙ্গে একটা পার্টনারশিপ তৈরি হচ্ছিল। আরও কিছু রান যোগ করতে পারতাম।'


আরও পড়ুন: এক হাতে অনবদ্য ক্যাচে পূজারাকে ফেরালেন স্মিথ, এই ক্যাচই কি বদলে গেল ম্যাচের রঙ?