হোবার্ট: প্রথম দুই ম্যাচে তিনি সুযোগই পাননি। তাঁকে সুযোগ না দেওয়ায় প্রবল সমালোচনা, বিতর্কও হয়েছিল। শেষমেশ হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (IND vs AUS) তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সুযোগ পেলেন অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh)। আর সুযোগ পেয়েই ম্যাচ সেরা। ৩৫ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন অর্শদীপ।

Continues below advertisement

দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা নিজেকে সবসময়ই প্রস্তুত রেখেছিলেন বলেই জানান অর্শদীপ। ম্যাচের পর তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'আমি নিজের খেলা নিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলাম। নিজের দক্ষতায় আস্থা রেখে পরিকল্পনাগুলি যাতে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে পারি, তার অনুশীলন করছিলাম। সুযোগ পেলে দলের হয়ে অবদান রাখতে পেরে তো সবসময়ই ভাল লাগে।'

এক সময় ম্যাট শর্ট এবং মার্কাস স্টোইনিসের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অজ়িরা দু'শো রানের দিকে এগোচ্ছিল। তবে ৬৪ রানে ব্যাট করা মার্কাস স্টোইনিকে আউট করে সাজঘরে ফেরত পাঠান অর্শদীপ। 'আমি নিঃসন্দেহেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে বোলিং করাটা উপভোগ করি। কেউ যদি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে, তাহলে তো তাঁকে আউট করারও সুযোগ থাকে। আর অপরদিকে বুমরার মতো একজন বোলিং করলে তো ব্যাটাররা আমার বিরুদ্ধেই বেশি করে আক্রমণ করতে যায় যার ফলে আমার ক্ষেত্রে উইকেট নেওয়ার সুযোগও তৈরি হয়।' জানান ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটশিকারী।

Continues below advertisement

অর্শদীপের দাবি পরিবেশ, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, তিনি সব পরিস্থিতিতেই নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে বোলিং করেন। 'আমি কেবল নিজের বোলিংটা উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং খেয়াল রাখি যাতে পরিকল্পনাগুলি সহজ, সরল রাখি। পাওয়ার প্লে হোক বা ডেথ ওভার, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, আমি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি যাতে যা অনুশীলন করেছি, তা সঠিকভাবে ম্যাচে কাজে লাগাতে পারি।'

কুলদীপ যাদবের মতো ছন্দে থাকা উইকেট সংগ্রহকারী স্পিনারকে বসিয়ে একাদশে তামিলনাড়ুর অফস্পিনারকে সুযোগ দিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে যিনি ফিল্ডিং করছিলেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। মাঠের সেই জায়গা, যেখানে জন্টি রোডস থেকে শুরু করে রিকি পন্টিং, যুবরাজ সিংহ, গ্লেন ফিলিপ্সের মতো বিশ্বের সেরা ফিল্ডাররা দাঁড়িয়েছেন বা দাঁড়ান। আর সেখানে দাঁড়িয়ে কি না লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন সুন্দর!

যদিও শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে প্রায়শ্চিত্ত করলেন তিনি। চাপের মুখে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৩ বলে অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে জেতালেন। হোবার্টে ৯ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে টি-২০ সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ তিন ম্যাচের পর আপাতত ১-১। বাকি দুই ম্যাচে হবে সিরিজের ফয়সালা।