গোল্ড কোস্ট: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (IND vs AUS) চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে একটা সময় ভারত ১৫০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারবে কি না, সেই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে শেষের দিকে অক্ষর পটেলের (Axar Patel) বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭ রান তোলে ভারত। ম্য়াচও ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটে নেমে ২১ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতেও জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন অক্ষর।

Continues below advertisement

এদিন অবশ্য নিজের স্বাভাবিক পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করতে নামেননি অক্ষর। তাঁকে সাত নম্বরে ব্যাটে নামানো হয়। অবশ্য ব্যাটিং অর্ডারে অবনতি তাঁকে খানিকটা সাহায্যই করেছে বলে দাবি অক্ষরের। ম্যাচশেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নেওয়ার পর তারকা অলরাউন্ডার দাবি করেন, 'আমি সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামায় আগেই উইকেটটা কেমন আচরণ করছে, সেটা দেখে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। বাকি ব্যাটারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি বল ভালভাবে ব্যাটে আসছে না। বাউন্সটাও অস্বাভাবিক রকমের এবং এই উইকেটটাও বেশ খানিকটা মন্থর। তাই আমি খানিকটা সময় নিয়ে বল দেখে ব্যাট চালাই।'

ব্যাটিং অর্ডারে ডিমোশন নিয়ে অক্ষর পটেল একেবারেই মাথা ঘামাতে নারাজ। 'আমার মতে দলের যখন যেখানে আমাকে দরকার হবে, সেটাই আমার আদর্শ ব্যাটিং পজিশন। আমি যদি দলের হয়ে ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারি, তাহলে সেটাই আমার জন্য সেরা ম্যাচ। ছয় নম্বর আমার সঠিক ব্যাটিং পজিশন, না সাত, সেইসব নিয়ে ভাবি না। মাঠে নেমে দলের কী প্রয়োজন শুধু সেই কথাটাই মাথায় ঘোরে এবং সেই অনুযায়ীই খেলি।' বলেন তিনি।

Continues below advertisement

নিজের বোলিং নিয়ে অক্ষর জানান, 'আমি নিজের পরিকল্পনামাফিকই বোলিং করছিলাম। ব্য়াটাররা যদি আমায় এগিয়ে এসে ডাউন দ্য লাইন মারে, তাহলে আমি মিডল স্টাম্প দেখে বোলিং করতে পারি। ওই পাঁচ, ছয় মিটারের আশেপাশের গুড লেংথে বল রাখার চেষ্টা করি। যদি দেখছি একদমই জিনিসপত্র আমার নাগালের বাইরে যাচ্ছে, তখনই ফুল লেংথে এক, আধটা বল করি। এই পরিবেশে এটাই আমার বোলিং পরিকল্পনা। আমার মনে হয় এখানে উইকেট লক্ষ্য করে বোলিং করাটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।'