চেন্নাই: সামনে ৫১৫ রানের টার্গেট। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে (IND vs BAN 1st Test) এই পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে বাংলাদেশের শুরুটা ভাল করা প্রয়োজন ছিল। শাদমান ইসলাম (Shadman Islam) ও জাকির হাসান (Zakir Hasan) অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়লেন। চা বিরতিতে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ৫৬ রান।


এই সেশনের শুরুতে নিজেদের ১৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন শুভমন গিল (Shubman Gill) ও ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। মধ্যাহ্নভোজের আগেই ভারতীয় দল দু'শোর গণ্ডি পার করে ফেলছিল।পন্থ ও গিল, দুইজনেই ৮০-র কোটায় অপরাজিত ছিলেন। অনেকেই মনে করছিলেন সম্ভবত লাঞ্চের পরে দুই তারকা সেঞ্চুরি হাঁকালেই ভারতীয় দল ইনিংস ঘোষণা করবে। প্রত্যাশিতভাবেই তৃতীয় সেশনে দুই তারকাই নিজেদের সেঞ্চুরি পূরন করেন। ১২৪ বলে নেন তিনি শতরান পূরণ করতে।


নিজের লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কামব্যাক টেস্টে ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি করেন পন্থ। তিনিই মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে যুগ্মভাবে টেস্টে ভারতীয় কিপার-ব্য়াটার হিসাবে সর্বাধিক সেঞ্চুরির হাঁকানোর কৃতিত্ব গড়লেন। তবে ধোনি ৯০টি টেস্টে ছয়টি শতরান করেছিলেন, পন্থ নিলেন ৩৪টি টেস্ট। তিনি যখন মাঠ ছাড়েন তখন পন্থের নামের পাশে লেখা ১০৯ রান। তবে পন্থ আউট হলেও গিল কিন্তু অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পঞ্চম সেঞ্চুরিটি হাঁকান তিনি। ২০২২ সাল থেকে এই নিয়ে সব ফর্ম্যাটে ১২ টি শতরান করে ফেললেন গিল। আর কোনও ব্যাটার এই সময়ে এত শতরান হাঁকাতে পারেননি।


পন্থ মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে আউট হলে গিলকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে নামেন কেএল রাহুল। পঞ্চম উইকেটে দুইজনেই দ্রুত গতিতে রান তোলেন। ৫০ বলেই নিজেদের ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তাঁরা। কেএল রাহুল শতাধিক স্ট্রাইক রেটে ২২ রান করেন। ভারত চার উইকেটের বিনিময়ে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশের ওপেনাররা বাকি সময়টা যাতে কোনও উইকেট না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করেন। সবকয়টি উইকেট অক্ষত রেখেই সাজঘরে যায় বাংলাদেশ। রেকর্ড রানের টার্গেট তাড়া করার চেষ্টা করতে হলেও বাংলাদেশি ওপেনারদের এই পার্টনারশিপে যে আরও রান যোগ করার প্রয়োজন, তা বলাই বাহুল্য।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: শাকিব আউট হতেই মাঠে বিশেষ নাচ বিরাটের, ভাইরাল হল কোহলির ভিডিও