কানপুর: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম টেস্টে চেন্নাইয়ের পিচ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বেশ নজর কেড়েছিল। পিচে একটা সময় ব্যাটাররা যেমন সহজে বল ব্যাটে আসায় রান করতে পারছিলেন, তেমনই শুরুর দিকে বোলারদের সাহায্যও ছিল। কানপুরের ২২ গজও কিন্তু অনেকটা একইরকম ছবি দেখা যেতে পারে। অন্তত গ্রিন পার্কের পিচ প্রস্তুতকারক শিব কুমার এমনটাই জানাচ্ছেন।


শিব কুমারের (Shiv Kumar) মতে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের (IND vs BAN 2nd Test) পিচটা একটা আদর্শ টেস্ট ম্য়াচের পিচ হতে চলেছে। এই পিচে শুরুর দিকে যেমন ফাস্ট বোলাররা মদত পান, তেমন দিন গড়ালে ব্যাটাররাও বেশ সহজেই নিজেদের শট খেলতে পারবেন। আবার ম্যাচের পরের দিকে স্পিনাররাও সুযোগ সুবিধা পাবেন। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিব কুমার বলেন, 'এই ম্যাচেও অনেকটা চেন্নাইয়ের ম্যাচের মতোই দৃশ্য দেখা যাবে। পিচের সবার জন্যই কিছু না কিছু মদত থাকবে। প্রথম দুই সেশনে পিচে বাউন্স থাকবে। প্রথম দুইদিন ব্যাটাররা ব্যাটিং করতেও বেশ মজা পাবেন। তারপর ম্যাচের শেষের তিনদিন স্পিনাররা ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারবেন। পিচ থেকে স্পিনারদের জন্য মদত থাকবে।'


গ্রিন পার্কের পিচ বরাবরই কানপুর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে উন্নাওয়ের কাছে কালি মাট্টি গ্রাম থেকে আমদানি করা হয়। যেখানে লাল মাটির পিচ ফাস্ট বোলারদের সাহায্য করে থাকে, সেখানে কালো মাটির পিচ সাধারণত স্পিনারদের সাহায্য করে থাকে। কানপুরের এই মাঠের পিচ কিন্তু কালো মাটিরই হয়। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক বলেন, 'আমরা এই পিচটা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পরীক্ষা করাব। কালি মিট্টির গ্রামের এক পুকুরের সামনে পাওয়া এটি বিশেষ এক ধরনের মাটি। ওই গ্রাম থেকেই আমরা সবসময় মাটি নিয়ে আসি।'


উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিবেশবান্ধব এক ম্যাচ আয়োজনে উদ্যোগী। সেই কারণেই যতটা সম্ভব কম প্লাস্টিক ব্যবহার করার শপথ নিয়েছে ক্রিকেট সংস্থা। এর জেরে মাঠে প্লাস্টিকের প্লেট ব্যবহার বর্জন করা হয়েছে। পরিবর্তে কেবল কাগজের প্লেটেই খাবার পরিবেশন করা হবে বলেও জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: পন্থের এক ছক্কাতেই ভাঙতে পারে স্ট্যান্ডস! দ্বিতীয় টেস্টের আগেই গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম ঘিরে উদ্বেগ