ম্যাঞ্চেস্টার: লাঞ্চের আগে মাত্র তিন ওভার ব্যাট করতে হত। লক্ষ্য ছিল কোনও উইকেট না হারিয়ে সাজঘরে ফেরা। সামনে ৩১১ রানের লিড। তবে ভারতীয় দল এক নয়, ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্টের (IND vs ENG 4th Test) দ্বিতীয় ইনিংসে তিন ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলল। খাতা খোলার আগেই টপ অর্ডারের দুই বাঁ-হাতি ভারতীয় ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল এবং সাই সুদর্শন খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরলেন। চতুর্থ দিনের লাঞ্চে ভারতের স্কোর এক রানের বিনিময়ে দুই উইকেট। ৩১০ রানে আপাতত পিছিয়ে টিম ইন্ডিয়া।
দিনের প্রথম সেশনটা কিন্তু পুরোপুরিই ইংল্যান্ডের দখলে গেল আর সম্ভবত ম্যাচও। ওল্ড ট্রাফোর্ডের পিচে এমনিই বাউন্সের তারতম্য দেখা গিয়েছে। সেখানে তিনশোর অধিক রানে পিছিয়ে থাকার অর্থ ভারতীয় দল ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে। তবে এমন পরিস্থিতিতে শুরুতেই যশস্বীর আগ্রাসী ব্যাটিং এবং রাহুলের জমাটি রক্ষণে ভর করে টিম ইন্ডিয়া একটা ভাল শুরুর আশা করছিল। পাহাড়প্রমাণ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুটা ভাল করা টিম ইন্ডিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তবে ক্রিস ওকসের (Chris Woakes) বলে যশস্বী স্লিপে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন। জো রুট প্রথমে বল তালুবন্দি করতে না পারলেও, তা মাটিতে পড়ার ঠিক আগেই ধরে নেন। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করা সুদর্শন তো বুঝতেই পারলেন না তিনি বল ছাড়বেন কী খেলবেন। এই করতে গিয়েই বল তাঁর ব্যাটে লেগে দ্বিতীয় স্লিপের হাতে চলে যায়। ভারতীয় দল কোনওরকমে বাকি দুই ওভারে এক রান করে লাঞ্চে সাজঘরে ফেরেন। বর্তমানে যে টিম ইন্ডিয়া ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে, তা বলাই বাহুল্য।
এর আগে দিনের শুরুতে সকালে অবশ্য ভারতীয় দল শুরুটা মন্দ করেনি। বেন স্টোকস ও লিয়াম ডসনের পার্টনারশিপ বেশিদূর এগোয়নি। তাঁরা ১৯ রান যোগ করার পরই ডসনকে সাজঘরে ফেরান যশপ্রীত বুমরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল আশা করছিল এবার অবশেষে হয়তো ইংল্যান্ডকে তাঁরা অল আউট করতে পারবে। তবে সে গুড়ে বালি।
নবম উইকেটে ব্রাইডন কার্সকে সঙ্গে নিয়ে স্টোকস ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন। বল হাতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও তিনি নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ছয়শো রানের গণ্ডি পার করার পরেই ইংরেজ অধিনায়ক আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন। সেই চেষ্টাতেই লং অনের বাউন্ডারিতে ১৪১ রানে ধরা দেন তিনি।
ব্রাইডন কার্সও স্টোকসে এদিন যোগ্য সঙ্গ দেন। তবে স্টোকস আউট হওয়ার পর তিনিও খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। কার্সও বড় শট মারতে গিয়েই ৪৭ রানে আউট হন। অল্পের জন্য সিরিজ়ের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন তিনি। ইংল্যান্ডের শেষ দুই উইকেটই নেন রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি ইনিংসে মোট চার উইকেট নিলেন।