মোতেরা: নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মোতেরার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন চার- ছক্কার ফুলঝুরি দেখা গেল। সৌজন্যে শুভমন গিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে আগে অভিষেক হয়েছিল তাঁর টেস্টে। কিন্তু টেস্টে এখনও পর্যন্ত সেঞ্চুরি আসেনি। কিছুদিন আগে ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে দ্বিশতরানের ইনিংসও খেলেছেন। এবার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন শুভমন গিল। এদিন তাঁর অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে বোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তুলে নিল ভারতীয় দল। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ। শুরুতে ব্যাটিং করে বড় রান বোর্ডে তুলে নেওয়াটাই ছিল লক্ষ্য। আগের ২ ম্যাচে ভারতের ২ ওপেনার রান পাননি। এদিনও মাত্র ১ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঈশান কিষাণ। তবে শুভমন গিল এদিন অন্য মেজাজে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। শুরুতে রাহুল ত্রিপাঠী ও পরে হার্দিক পাণ্ড্যকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডকে দুশোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন। রাহুল ত্রিপাঠী এদিন ২২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে প্রথমে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তিনি ফিরে যাওয়ার পর এদিন সূর্যকুমার যাদব বেশি বড় রান করতে পারেননি। তিনি ২৪ রান করেন। নিজের অর্ধশতরান হাঁকানোর পরই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন গিল। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ১২৬ রান করেন তিনি। ১২টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান তিনি। হার্দিক ১৭ বলে ৩০ রান করেন। 


এদিন নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ খেলতে নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। আর ম্যাচ শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হল বিসিসিআইয়ের তরফে। বিসিসিআইয়ের তরফে ৫ কোটি টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।


সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। শেফালি, তিতাস, রিচারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিলেন। সচিন বিশ্বকাপজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ''তোমাদের সাফল্যে গোটা দেশ গর্বিত। তোমরা এখন রোল মডেল। আমি নিশ্চিত দেশকে আরও সাফল্য এনে দেবে তোমরা। বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন আমরা প্রথম দেখেছিলাম ১৯৮৩ সালে। তখন আমার ১০ বছর বয়স। এই বিশ্বকাপ জয় দেশের ছোট ছোট মেয়েদের ক্রিকেটের প্রতি আরও উৎসাহিত করবে। ওরাও হাতে ব্যাট, বল তুলে নেওয়ার আগ্রহ পাবে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখবে। এ বছর থেকেই শুরু হচ্ছে মহিলাদের আইপিএল। মহিলাদের ক্রিকেটের জন্য এটা খুব বড় পদক্ষেপ। আমি সব সময় পুরুষ এবং মহিলাদের সমানাধিকারে বিশ্বাস করি। শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রে নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমানাধিকার গুরুত্বপূর্ণ। ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত।''