মুম্বই: রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত শতরান হাঁকালেন শ্রেয়স গোপাল। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে খেলতে নেমেছে কর্ণাটক। সেখানেই খেলার দ্বিতীয় দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে পাহাড়প্রমাণ ৪৭৫ রান করে দিয়েছে। যার মূলে শ্রেয়স গোপালের শতরান ছাড়াও রয়েছে অধিনায়ক ময়ঙ্ক অগ্রবাল ৮৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। রবিকুমার সামর্থ ৮২ রান করেন।
তবে শ্রেয়স গোপালের ইনিংসই এদিনের এই ম্যাচের হাইলাইটস ছিল। ১৫৩ বলের ইনিংসে ১৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ৮ টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান দেবদত্ত পড়িক্কল ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন।
অন্য ম্যাচে পাঞ্জাবের মুখোমুখি হয়েছিল সৌরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৩ রান বোর্ডে তুলেছিল সৌরাষ্ট্র। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩২৭ রান বোর্ডে তুলেছে পাঞ্জাব। প্রভসিমরন সিংহ ১২৬ রান করেছিলেন। নমন ধীর ১৩১ রান করেন।
আন্ধ্রাপ্রদেশ ৩৭৯ রান করেছে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করেছে এখনও পর্যন্ত।
মাত্র ১৭৪ রান তুলতে পারলেই প্রথম ইনিংসের লিড নিশ্চিত হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) সুবিধাজনক জায়গায় বাংলা। দ্বিতীয় উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) ও সুদীপ কুমার ঘরামি (Sudip Kumar Gharami)।
কম আলোর জন্য প্রথম দিন ঝাড়খণ্ড ইনিংস শেষ হওয়ার পর বাংলা ব্যাট করতে নামতে পারেনি (Ben vs Jha)। আলো পরীক্ষা করে আম্পায়াররা জানিয়ে দেন যে, ম্যাচ চালু রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। মাত্র ৬৬.২ ওভার খেলা হয় প্রথম দিন। বুধবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুরুটা সতর্কভাবে করে বাংলা। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়। ২৪ বলে মাত্র ১ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান কাজি জুনেইদ সইফি। যাঁকে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য দলে নেওয়া হয়েছে। কর্ণ লালকে বাদ দিয়ে। ঘাতক বোলারের নাম আশিস কুমার।
যদিও কাজির উইকেট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাংলা শিবির মনে করছে, আশিস কুমারের বল পড়ে লেগস্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। বলা হচ্ছে, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কাজি দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্তের শিকার। সব মিলিয়ে ওপেনিং সমস্যা কাটল না বাংলার। গোটা মরসুমে যা ভুগিয়ে আসছে কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল-অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিদের টিম ম্যানেজমেন্টকে।
৮.৫ ওভারে ১১/১ হয়ে যাওয়ার পর অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে, মেঘলা আবহাওয়ায় না ব্যাটিং ধস নামে। আগের ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে বাংলার একশো রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার তিক্ত স্মৃতিও ফিরে আসছিল কারও কারও মনে।