ডারবান: লক্ষ্য ছিল বেশ কঠিন। শুরুটাও খুব একটা ভাল হয়নি। শেষমেশ দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার খানিকটা লড়াই করে বটে। তবে নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ম্যাচ জেতাটা কার্যত অসম্ভবই ছিল। শেষমেশ হলও তাই। ১৪১ রানেই অল আউট হয়ে যায় প্রোটিয়া দল। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (IND vs SA 1st T20I) ৬১ রানে জয় পেল ভারত। ভারতীয় দলের দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakravarthy) ও রবি বিষ্ণোই (Ravi Bishnoi) তিনটি করে উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মারক্রাম ইনিংসের শুরুতেই প্রথম ওভারে অর্শদীপ সিংহের বিরুদ্ধে দুইটি চার হাঁকান। তবে ঠিক তার পরের বলেই মারক্রামকে সাজঘরে ফেরান অর্শদীপ। ট্রিস্টান স্টাবসকে ফিরিয়ে পাওয়ার প্লেতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে খানিক চাপে ফেলে দেন আবেশ খান। এরপরেই ভারতীয় স্পিনাররা ম্যাচের দখল নেন। বাঁ-হাতি রিকেলটন ছন্দেই ছিলেন। তাঁকে ২১ রানে আউট করে ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তৃতীয় ধাক্কা দেন বরুণ চক্রবর্তী।
প্রোটিয়া দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্লাসেনকে ফিরিয়ে ৪২ রানের সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন বরুণ। এরপর রবি বিষ্ণোই ভেল্কিতে একে একে ক্রুগার, জানসেনরা ফেরেন। জেরাল্ড কোয়েৎজ়া কয়েকটা বড় শট খেলেন। তবে ডাইরেক্ট হিটে তাঁকে ২৩ রানে রান আউট করে সাজঘরে ফেরত পাঠান সূর্যকুমার। শেষমেশ মহারাজকে বোল্ড করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল আউট করেন আবেশ খান।
এদিন ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারতীয় দল। অবশ্য অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব জানান টস জিতলেও, ভারতীয় দল ব্যাটই করত। তবে শুরুটা ভারতীয় দল খুব ভাল যে করেছিল, তেমনটা নয়। মাত্র সাত রানেই সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা। ২৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। তবে ব্যাটে নেমেই চার, ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন। আর স্যামসন তো অনবদ্য ছন্দে ছিলেনই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লেতেই ২০ বলে ৩৫ রান তুলে ফেলেন স্যামসন। এরপর ফিল্ডাররা ছড়িয়ে গেলেও কিন্তু স্যামসনের আক্রমণের ঝাঁঝ এতটুকুও কমেনি। নাকাবার বিরুদ্ধে অষ্টম ওভারে নাগাড়ে দুই ছক্কা হাঁকান স্যামসন। তারকা কিপার-ব্যাটার নব্বইয়ের ঘরের দিকে এগোলেও, তাঁর আগ্রাসন এতটুকুও কমেনি। তিনি দেখতে দেখতেই সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। মাত্র চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে ফিল সল্টদের তালিকায় যোগ দিয়ে নাগাড়ে দ্বিতীয় বিশ ওভারের ম্যাচে সেঞ্চুরি এল স্যামসনের ব্যাট থেকে।
শতরান করার পাশাপাশি সূর্যকুমার ও তারপর তিলক বর্মার সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন স্যামসন। সূর্যকুমার ২১ ও তিলক ৩৩ রান করেন। সেঞ্চুরির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি স্যামসনও। ১০৭ রানে সাজঘরে ফেরেন স্যামসন। পরপর তিন ওভারে তিলক ও সঞ্জু, দুই সেট ব্যাটারসহ তিন উইকেট হারিয়ে ভারতের রানের গতি কমে যায়। শেষমেশ দুশো পার করলেও, যতটা মনে হচ্ছিল, তত বড় রান করতে পারেনি ভারত। তবে জয়ের জন্য ২০২ রান যথেষ্ট ছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।