গুয়াহাটি: ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) টেস্টের প্রথম টেস্টে ইডেনে প্রথম দিন একগুচ্ছ উইকেট পড়েছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে গুয়াহাটিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি দেখা গেল। ম্যাচের শেষ সেশনে চার উইকেট পড়লেও, প্রথম দুই সেশনে পড়ল মাত্র দুই উইকেট। শুধু তাই নয়, প্রোটিয়া ব্য়াটাররা ইতিহাসও গড়লেন।
এই ম্যাচে ভারত নিজেদের একাদশে দুই বল ঘটায় এবং প্রোটিয়া দল এক বদল ঘটিয়ে মাঠে নামে। ভারতের ৩৮তম টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে ঋষভ পন্থ টেস্টে টস করতে নামেন। তবে অধিনায়ক নতুন হলেও, টস ভাগ্য একই থাকে। পন্থও টস হারেন। টস হেরে শুরুতে বল হাতে ভারতীয় দল একেবারেই নতুন বলে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেন। প্রোটিয়া ওপেনাররা অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন।
এডেন মারক্রাম, রায়ান রিকেলটন, তেম্বা বাভুমা, ট্রিস্টান স্টাবস সকলেই কিন্তু ব্যাট হাতে শুরুটা ভালই করেন। তবে কেউই বড় রান করতে পারেননি।তাঁরা যথাক্রমে ৩৮, ৩৫, ৪১ ও ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও দলের প্রথম চার ব্যাটারই ৩৫ রানের গণ্ডি পার করেন, কিন্তু কেউই অর্ধশতরান হাঁকাতে পারলেন না। ভারতের ৩০তম টেস্ট ভেন্যুতে প্রথম দিনই এক নতুন ইতিহাস রচিত হল।
ইডেনে প্রথম টেস্টে ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাঁদে ফেলার কৌশল নিয়েছিল ভারত। যে পরিকল্পনা ব্যুমেরাং হয়ে ভারতকেই ঘায়েল করে। আড়াই দিনের মধ্যে টেস্টে হেরে যায় ভারত। গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টেস্টে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ভারতের। ম্যাচ জিতলে, সিরিজ অমীমাংসিত রাখা সম্ভব।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। যশপ্রীত বুমরার বলে মাত্র ৪ রানে থাকা এইডেন মারক্রামের ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে ফেলে দেন কে এল রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর তখন সবে ১৬ রান। ওপেনিং জুটিতে ৮২ রান যোগ করেন মারক্রাম ও রায়ান রিকেলটন।
চা পানের বিরতির (গুয়াহাটি টেস্টে প্রথমে চা পানের বিরতি হচ্ছে) ঠিক আগে মারক্রামকে বোল্ড করেন বুমরা। তারপরই কুলদীপের ভেল্কি শুরু। যদিও ট্রিস্টান স্টাবস ও তেম্বা বাভুমা পাল্টা লড়াই করেন। দিনের শেষ ওভারে, দ্বিতীয় নতুন বলে টনি দি জর্জিকে ফিরিয়ে ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ।