ধর্মশালা: অধিনায়ক হিসাবে তাঁর রেকর্ড অনবদ্য, তবে এই বছরটা যেন ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) জন্য একেবারে দুঃস্বপ্নের মতোই কাটছে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (IND vs SA) ভারতীয় অধিনায়কের সামনে খুব বড় রান করার সুযোগও ছিল না। অল্পের রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিল ভারত। তবে তাতেও দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ সূর্যকুমার।  

Continues below advertisement

চলতি বছরে সূর্যকুমারের ব্যাটিং গড় মাত্র ১৪.২০। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরে অন্তত ২০০ রান করা অধিনায়কদের তালিকায় এই গড় সর্বকালের দ্বিতীয় নিম্নতম। ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে এই গড় এক ক্যালেন্ডার মরশুমেও দ্বিতীয় নিম্নতম। আর মাস দু'য়েক পরেই ঘরের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। সেখানে অধিনায়কের এহেন ফর্ম স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

ম্যাচের পর নিজের ফর্ম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সূর্য জানান যা যা তাঁর করণীয় ফর্মে ফেরার জন্য তিনি সেইসবই করছেন। ভারতীয় অধিনায়ককে বলতে শোনা যায়, 'আমি নেটে বেশ ভাল ব্যাটিং করছি। আমার পক্ষে যা যা করা সম্ভব সবই করার চেষ্টা করছি। ম্যাচে যখন রান আসার হবে, তখন তা ঠিকই চলে আসবে। তবে হ্যাঁ, আমি রান পাচ্ছি না ঠিকই কিন্তু অফফর্মে নই।'

Continues below advertisement

এদিন সূর্য যখন মাঠে নামেন, তখন ভারতের জয়ের জন্য আর মাত্র ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল। বড় রান করার সুযোগ ছিল না। তবে অনেকেই আশা করছিলেন সূর্য ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়বেন। সে গুড়ে বালি। ১১ বলে মাত্র ১২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন সূর্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতের আর সাত ম্যাচ বাকি। এই ম্যাচগুলির মধ্যে সূর্য নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পান কি না, এবার সেটাই দেখা বিষয়।

এদিন ভারতের সামনে ১১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই এনগিডিকে ছক্কা হাঁকালেন অভিষেক শর্মা। প্রথম ওভারে মোট উঠল ১৭ রান। জয়ের মঞ্চ এভাবেই গড়ে দেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। শুরু থেকেই এত আক্রমণাত্মক খেলেন যে বোলারের মনোবলটাই খারাপ হয়ে যায়। উল্টোদিকে থাকা গিলও ধীরে ধীরে হাত খুললেন। পাওয়ার প্লেতেই ৬১ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল ভারত। অভিষেক হয়ত আরও একটা অর্ধশতরান পেয়েই যেতেন। কিন্তু মারক্রামের অবিশ্বাস্য ক্যাচ তাঁকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখাল।

গিল ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে সময়ও কাটালেন। কিন্তু ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ২৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন। তিন নম্বর স্লটে ভারতীয় দলের কুড়ির ফর্ম্যাটে অটোমেটিক চয়েস তিলক বর্মা। দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এদিনও অপরাজিত থাকলেন শেষ পর্যন্ত। তবে রান পেলেন না সূর্যকুমার।  এনগিডির একটি ওভারে পরপর দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হলেন। ব্যর্থতার তালিকা কিন্তু ভারত অধিনায়কের আরও লম্বা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ১৫.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।