বেঙ্গালুরু: সকলের নজর ছিল ঋষভ পন্থের দিকে। কারণ পায়ের পাতায় হওয়া চিড় সারিয়ে এই ম্য়াচের মাধ্যমেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে পন্থ কামব্যাক ঘটাচ্ছিলেন। তবে সেই ম্য়াচের প্রথম দিনের নায়ক কিন্তু তরুণ অলরাউন্ডার তনুশ কোটিয়ান (Tanush Kotian)। 

Continues below advertisement

বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের বিরুদ্ধে (India A vs South Africa A) মাঠে নেমেছিল ভারতীয় 'এ' দল। সেই ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঋষভ পন্থ। ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ওপেনার লেসেগো সেনোকানেকে খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে, ভারতের হয়ে শুরুট দারুণভাবে করেছিলেন অংশুল কম্বোজ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার জর্ডান হরমন এবং জ়ুবের হামজ়া প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দুইজনেই অর্ধশতরান হাঁকান। শতাধিক রানের পার্টনারশিপও গড়ে তাঁরা।

গুরণুর ব্রার হামজ়াকে ৬৬ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে পার্টনারশিপ ভাঙেন। এরপরে তনুশ কোটিয়ানের স্পনভেল্কিতে একে মার্কাস অ্যাকারম্যান (১৮), জর্ডান (৭১) সাজঘরে ফেরেন। রিভাল্ডোকে ফেরান মানব সুতার। দু'শো রানের গণ্ডি পার করার আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন পরিস্থিতিতে জর্ডানের ভাই রুবিন এবং তিয়ান ভ্যান ভুরেন লড়াই শুরু করেন। রুবিনও অর্ধশতরান হাঁকান। তবে তিনিও ভাই জর্ডানের মতোই তনুশেরই শিকার হন। মানব সুতার অর্ধশতরানের দোরদোড়ায় তিয়ানকে সাজঘরে ফেরান।

Continues below advertisement

দিনের শেষ লগ্নে খলিল আমেদের বলে লুথো সিপাম্লা এলবিডব্লু হতেই খেলা শেষ হয়। খারাপ আলোর জন্য নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই দিনের খেলা বাধ্য হয়েই বন্ধ করা হয়। দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর নয় উইকেটের বিনিময়ে ২৯৯ রান।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে নিয়মভঙ্গ!

আজ অবধি টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচের আগে সর্বপ্রথম টস হয়। তারপর দিনের খেলা শুরু হওয়ার পর লাঞ্চ, তারপর দ্বিতীয় সেশন, চা পানের বিরতি এবং শেষ সেশন। তবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্টে সেই নিয়মভঙ্গ হতে চলেছে। Indian Express-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ম্য়াচে লাঞ্চ নয়, আগে চা পানের বিরতি হবে। তারপরে হবে লাঞ্চ। 

কেন এমন সিদ্ধান্ত? এর পিছনে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের সূর্যাস্তের সময়। বাকি দেশের তুলনায় অসমের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে আগেই সূর্যাস্ত হয়, সেই কারণেই এই বদল। এক বিসিসিআই আধিকারিক এই বিষয়ে জানান, 'আগেভাগে চা পানের বিরতি নেওয়ার কারণ হল গুয়াহাটিতে আগেই সূর্যাস্ত হয় এবং সেই কারণেই ম্যাচ আগেই শুরুও হবে। এই প্রথম আমরা চা পানের বিরতির সময় বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি যার ফলে সময় বাঁচবে এবং ওভার শেষ করার জন্য মাঠে বেশি সময়ও পাওয়া যাবে।'