নয়াদিল্লি: দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় হয় না। তবে এই বিষয়টি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর যে কোনও ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা আরও বৃদ্ধিই করে। তাই বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু আসন্ন অলিম্পিক্সে (LA Olympics 2028) সম্ভবত এই দ্বৈরথ দেখা যাবে না।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে আয়োজিত অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। সবথেকে বড় ক্রীড়া ইভেন্টে সবথেকে বড় ক্রিকেট প্রতিদন্দ্বিতার সাক্ষী থাকবেন বলে অনেক ক্রিকেটপ্রেমীরাই আশায় ছিলেন। তবে তেমনটা সম্ভবত হচ্ছে না। অলিম্পিক্সে ছয়টি পুরুষ এবং ছয়টি মহিলা, মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করবে । দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়েই এই বিষয়টি শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ছয়টি দল খানিকটা ভিন্নভাবে নির্বাচিত হবে ।
সাধারণত আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় ব়্যাঙ্কিং অনুযায়ী দলগুলি যোগ্যতা অর্জন করে থাকে । তবে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের ক্ষেত্রে নিয়মটি খানিকটা পৃথক হতে চলেছে । খবর অনুযায়ী ব়্যাঙ্কিংয়ে সেরা দলগুলি নয়, বরং প্রতিটি মহাদেশ থেকেই একটি করে সেরা দল বিশ্বের সেরা প্রতিযোগিতায় মার্কিন মুলুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ।
টি-টোয়েন্টি ব়্যাঙ্কিং হোক বা পারফরম্যান্স, সবেতেই ভারতীয় দল এশিয়ার সেরা। সেখানে পাকিস্তান সম্ভবত টি-টোয়েন্টিতে বর্তমানে দ্বিতীয় সেরা এশিয়ান দলও নয় । তাই লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বৈরথ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ । যদিও এখনও বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি, তবে দ্রুতই তা প্রকাশ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে । এক মহাদেশ থেকে দুই দল খেলার ছাড়পত্র না পেলে পাকিস্তানের কিন্তু অলিম্পিক্স খেলা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে ।
দল বাছাইয়ের এই নিয়ম অনুযায়ী আয়োজক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রকে অলিম্পিক্সে সুযোগ দেওয়া হবে না, ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেটা কিন্তু দেখার বিষয় হতে চলেছে। অলিম্পিক্সের লড়াই ১২ জুলাই, ২০২৮ সাল থেকে শুরু হবে । লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে মোট ২৮টি ম্যাচ খেলা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ইতিহাস রচিত হতে চলেছে। সেই ঐতিহাসিক প্রতিযোগিতায় কে সেরার শিরোপা জিতবে, কে স্বর্ণপদক পাবে, সেটা কিন্তু দেখার বিষয় হতে চলেছে ।