তেলেঙ্গানা: শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশ। অধিনায়ক হিসেবে টানা দুটো টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। শুধু সিরিজ জয়ই নয়। ক্লিনস্যুইপও করেছে টিম ইন্ডিয়া। একটা তরুণ দলকে নিয়ে সিরিজ জয়ের পর সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) বলছেন, ব্যক্তিস্বার্থ নয়। সবাই দল হিসেবে খেলেছেন। পারফর্ম করেছেন। তাই এটা দলগত সাফল্য। উল্লেখ্য, গতকাল সিরিজের শেষ ম্য়াচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ম্য়াচের পর সূর্যকুমার বলেন, ''আমার মনে হয় দল হিসেবে আমরা দুর্দান্ত পারফর্ম করতে পেরেছি। আমি সিরিজ শুরুর আগেই বলেছিলাম যে আমি একটা ব্য়ক্তিস্বার্থহীন দল চাই। যেখানে সবসময় নিজের স্বার্থের আগে দলের কথা ভাবা হবে। আমরা সবসময় একে অপরের সাফল্য উপভোগ করেছি। মাঠের ভেতর হোক বা মাঠের বাইরে সবাই সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।''


ম্য়াচে ৪৭ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। সূর্যকুমারও ৩৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। হার্দিক পাণ্ড্য ১৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন। মূলত তাঁদের ইনিংসের সুবাদেই ২৯৭ রানের বিশাল স্কোর বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ভারত। যা তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৬৪ রানের বেশি আর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ শিবির। সূর্য বলেন, ''শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের সময় থেকেই গম্ভীর ভাই একটা কথা আমাদের বলে এসেছিলেন যে নিজের পারফরম্য়ান্স নিয়ে বেশি ভাবতে না। দলের জন্য যা ভাল সেদিকই লক্ষ্য রাখতে। যদি কেউ ৪৯ রান বা ৯৯ রানে ব্যাটিং করেন, তখন যদি মনে হয় একটা ছক্কা হাঁকালে দলের স্বার্থে ভাল, তাহলে সেটাই করা উচিৎ। ঠিক যেমন স্যামসন এদিন বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিল।''


বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানকে তাদের দেশে গিয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজে হারিয়ে। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে করতে। ভারতের কাছে দুই ফর্ম্যাটে গো হারান পরাজয়ের পর যদিও আত্মবিশ্বাসের সেই ফানুস চুপসে গিয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। শুধুমাত্র প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন ছাড়া গোটা সফরে আর কখনওই ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। 


টি-২০ ক্রিকেটে রানের বিচারে এটা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জয়। গত বছর আমদাবাদে নিউজ়িল্যান্ডকে ১৬৮ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেটিই বৃহত্তম। ২০১৮ সালে আয়ার্ল্যান্ডকে ১৪৩ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। বাংলাদেশকে ১৩৩ রানে হারানো তালিকায় তৃতীয় বৃহত্তম।