গালিয়র: টেস্ট সিরিজ অতীত। এবার লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকপ ফাইনাল জেতার পর থেকে এই ফর্ম্য়াটে এখনও পর্যন্ত কোনও আন্তর্জাতিক ম্য়াচ হারেনি ভারতীয় দল। আগামীকাল ৬ অক্টোবর রবিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্য়াচ খেলতে নামবে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। রোহিত, বিরাটের অনুপস্থিতিতে একেবারেই নতুন দলকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছিলেন সূর্যকুমার। সেই সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। এবার মিশন বাংলাদেশ।


ভারতীয় দলে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নেই বুমরা, সিরাজরা। জাডেজাও অবসর নেওয়ায় অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়াশিংটন সুন্দরের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় চমক হতে পারে বোলিং ব্রিগেডে। ২ তরুণ পেসারের নাম ঘোরাফেরা করছে টিম ম্য়ানেজমেন্টের মাথায়। আইপিএলকেকেআরের জার্সিতে দুরন্ত পারফর্ম করা হর্ষিত রানা ও লখনউ সুপারজায়ান্টসের জার্সিতে গতিতে মাত করা ময়ঙ্ক যাদব।


ভারতীয় দলে নিয়মিত সদস্য শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ ও অক্ষর পটেল তিনজনকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে সিরিজে। যার ফলে অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসনদের সামনে সুযোগ নিজেদের পারফরম্য়ান্স করার।  জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি ম্য়াচে ৪৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক শর্মা। তিনিই যে ওপেনিংয়ে নামছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। অভিষেকই হয়ত নতুন বলে স্ট্রাইক নেবেন। তাঁর ওপেনিং পার্টনার হিসেবে দেখা যাবে সঞ্জু স্যামসনকে। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন স্যামসন। কিন্তু তিনি একটিও ম্য়াচ খেলার সুযোগ পাননি। শ্রীলঙ্কা সিরিজেও খেলতে পারেননি। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে ওপেনিংয়ে খেলতে পারবেন কেরলের ব্যাটার।


বোলিং ডিপার্টমেন্টে স্পিন আক্রমণে দেখা যেতে পারে সুন্দর ও বিষ্ণোইকে। হার্দিক অলরাউন্ডার হিসেবে খেলবেন। বরুণ চক্রবর্তীকেও দলে রাখা হয়েছে। প্রিয় তিন বছর বাদে জাতীয় দলে ফের সুযোগ পেলেন কেকেআরের হয়ে আইপিএল জয়ী এই তামিল লেগস্পিনার।


এদিকে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে নতুন নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে হার্দিক পাণ্ড্য। এখনও পর্য়ন্ত কুড়ির ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলের জার্সিতে মোট ১০২ ম্য়াচ খেলেছেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। ঝুলিতে পুরেছেন ৮৬ উইকেট। যদি আর পাঁচটি উইকেট নিতে পারেন, তাহলেই কিন্তু কুড়ির ফর্ম্য়াটে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার তালিকায় বুমরা ও ভুবনেশ্বরকে টপকে যাবেন হার্দিক। এই ফর্ম্য়াটে এখনও পর্যন্ত জসপ্রীত বুমরা ৭০ ম্য়াচে ৮৯ উইকেট নিয়েছেন। ভুবনেশ্বর ৮৭ ম্য়াচে ৯০ উইকেট নিয়েছেন। আর পাঁচটি উইকেট পেলেই দুজনকে টেক্কা দিয়ে দেবেন হার্দিক।