বার্মিংহাম: প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও (India vs England 2nd Test) টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমেছে ভারতীয় দল। প্রথম দিনের প্রথম সেশনে কেএল রাহুলকে অল্প রানে হারালেও যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal ) অর্ধশতরানে ভর করে লড়াইয়ে ফিরল ভারত। যশস্বীর সঙ্গে করুণ নায়ার ৮০ রান যোগ করে বেশ ভালভাবেই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত তিনি লাঞ্চের ঠিক আগেই সাজঘরে ফিরলেন। সেশন শেষে ভারতের স্কোর দুই উইকেটের বিনিময়ে ৯৮।
ভারতীয় দল এদিন প্রথম টেস্ট থেকে নিজেদের একাদশে তিন বদল ঘটিয়ে মাঠে নামে। জল্পনা মতোই যশপ্রীত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। তাঁর পরিবর্তে আকাশ দীপ দলে সুযোগ পান। ওয়াশিংটন সুন্দর ও নীতীশ কুমার রেড্ডিকেও শার্দুল ঠাকুর ও সাই সুদর্শনের পরিবর্তে দলে জায়গা দেওয়া হয়।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটে নামে ভারতীয় দল। শুরুটা অত্যন্ত রক্ষণাত্মকভাবেই করেছিলেন যশস্বী ও রাহুল। ক্রিস ওকসের দুরন্ত স্পেলে রান করতে বিপাকে পড়ে ভারতীয় দল। শেষমেশ ওকসের বল ডিফেন্ড করতে গিয়েই প্লেডঅন হন রাহুল। মাত্র ১৫ রানে ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙে। সাই সুদর্শনের অনুপস্থিতিতে এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন করুণ নায়ার। এই পজিশনেই তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছিলেন। ভারতীয় 'এ' দলের হয়েও তিনে নেমেই ডবল সেঞ্চুরি হাঁকান করুণ। তাই আশা ছিল তিনি এই টেস্টে বেশ ভাল খেলবেন।
শুরুটা কিন্তু করুণ মন্দ করেননি। তিনি বেশ দেখেশুনে এগোন। ওকসের স্পেল শেষ হওয়ার পরেই রানের গতিও বাড়ে। বিশেষ করে যশস্বী দলের ইনিংস এগিয়ে যান বেশ দ্রুত গতিতে। করুণ নায়ারও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন। দুইজনে মিলে দেখতে দেখতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন।মাত্র ৫৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন যশস্বীও। মনে হচ্ছিল শুরুতে উইকেট হারালেও, তাঁরা লাঞ্চের আগে প্রথম সেশনটা ভারতের নামেই করতে সক্ষম হবেন।
তবে হঠাৎই লাঞ্চের ঠিক কয়েক মিনিট আগে ব্রাইডন কার্সের এক বল গুড লেংথ থেকে দারুণভাবে লাফায়। বল করুণ নায়ারের দস্তানায় লেগে স্লিপে যায়। লোপ্পা ক্যাচ ধরেন হ্যারি ব্রুক। শুরুটা ভাল করেও ৩১ রানেই তাঁকে ফিরতে হয়। যশস্বী ও শুভমন গিল অবশ্য় সেশনে শেষের আগে আর যাতে কোনও উইকেট না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করেন। দ্বিতীয় সেশনে যশস্বীর দিকে বিশেষ নজর থাকবে। তিনি নাগাড়ে দ্বিতীয় টেস্টে শতরান হাঁকাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।