হেডিংলে: জমে উঠেছে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। ভারতীয় ক্রিকেট দল লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে ইংল্য়ান্ডের সামনে ৩৭১ রানের। যা তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ১৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি। হেডিংলেতে রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েছেন দুই ওপেনার। যা গত চার দশকে এই মাঠে কোনও জুটি করতে পারেননি। 

হেডিংলেতে ১৯৮৪ সালে শেষবার চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনও ইংরেজ ওপেনিং জুটি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। শেষবার এই নজির গড়েছিলেন প্রাক্তন ইংরেজ ব্যাটার ডেসমন্ড হেন্স ও গর্ডন গ্রিনিচ। এই ওপেনিং জুটি ১০৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন। অন্য়দিকে এবার দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যাক ও ডাকেট মিলে ১৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন।

এছাড়া বেন ডাকেটও একটি নজির গড়ে ফেলেছেন। প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করেছিলেন তিনি।  অন্য়দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ বলে অর্ধশতরান হাঁকান তিনি। যার ফলে গত ৩০ বছরে দ্বিতীয় ইংরেজ ওপেনার হিসেবে হেডিংলে টেস্টের দুই ইনিংসে অর্ধশতরান হাঁকালেন। এর আগে ২০১৫ সালে অ্য়ালিস্টার কুক হেডিংলেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন দুটো ইনিংসেই।

নির্বাসিত হতে পারেন পন্থ

হেডিংলে টেস্টে দুটো ইনিংসেই শতরান হাঁকিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। প্রথম ভারতীয় উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে এই নজির গড়েছিলেন পন্থ। তবে ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফর্ম করলেও শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বাঁহাতি তরুণ ক্রিকেটার। আম্পায়ারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য নির্বাসিত হতে পারেন পন্থ। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ঘটনাটি ঘটে। ইনিংসের ৬১তম ওভারে ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন বেন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। সেই সময়ই পন্থকে আম্পায়ারের সঙ্গে বলের পরিস্থিতি নিয়ে বচসায় জড়াতে দেখা যায়। আম্পায়ার বল গজে পরীক্ষাক পর ওই বল বদল করতে অস্বীকার করেন। রাগে গজগজ করতে করতে পন্থ বল আম্পায়ারদের সামনেই মাটিতে ছুঁড়ে ফেলেন। এই ঘটনার জেরেই শাস্তি পেলেন পন্থ।

আইসিসির তরফে নিয়মবিধির ২.৮ ধারা লঙ্ঘন করার জন্য পন্থকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক কোনও ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলে ক্রিকেটারদের এই ধারায় অভিযুক্ত করা হয়।  এই দোষের জেরে খেলোয়াড়ের ৫০ শতাংশ বেতন কাটা হয় এবং এক বা দুই ডেমেরিট পয়েন্ট শাস্তিস্বরূপ দেওয়া হয়। ২৪ মাসে পন্থের এটাই প্রথম দোষ। পন্থের নামের পাশে তাই এক ডেমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়।