এজবাস্টন: হেডিংলে টেস্টে হার ভারতকে কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে সিরিজে। পাঁচ ম্য়াচের সিরিজে এই মুহূর্তে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তার থেকেও বড় কথা চারটি সেঞ্চুরি গোটা ম্য়াচে হাঁকিয়েও যেভাবে হারতে হয়েছে, তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা। এমনকী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররাও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে আঙুল উঠেছে যশস্বী জয়সওয়ালের দিকে। ম্য়াচে প্রথম ইনিংসে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু চারটি ক্যাচ ফেলেছিলেন ফিল্ডিংয়ের সময়। যা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ম্য়াচের পর কিছুটা ক্ষোভের সুরেই গাওস্কর বলেছিলেন, ''আমার মনে হয় না যে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ ফিল্ডিংয়ের জন্য কোনও মেডেল দেবেন। যশস্বী জয়সওয়ালের কথা বলতে হবে। দারুণ ফিল্ডার। কিন্তু ও এতগুলো ক্যাচ ফেলল। যদি টেস্ট ম্য়াচ জিততে হয়, তাহলে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নিতেই হবে। আর সেক্ষেত্রে তিন-চারটে ক্যাচ কখনওই ফেলা উচিৎ নয়।''

যদিও ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর জয়সওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে খোঁচা দিয়েছেন সুনীল গাওস্করকে। তিনি বলেছেন, ''যশস্বী দুর্দান্ত ফিল্ডার। মেলবোর্ন ও লিডসের ম্য়াচ যদি ছেড়ে দিই তাহলে ও কেমন ফিল্ডিং করে, তা আমরা জানি। কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও অসাধারণ ফিল্ডিং করেছিল। এসি রুমে কমেন্ট্রি বক্সে বসে সমালোচনা করা খুবই সহজ। কিন্তু ম্য়াচের পরস্থিতি, চ্যালেঞ্জের কথাও মাথায় রাখতে হয়। আর সবচেয়ে বড় কথা এখানে বেশিরভাগ প্লেয়ারেরই এটাই প্রথম ইংল্যান্ড সফর।''

যদিও ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতির বার্তা দিয়েছেন শ্রীধর। তিনি বলেন, ''মাঠে ফিল্ডিং একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। তাই ম্য়াচে এতগুলো ক্যাচ মিস করা যাবে না। কখন কোন বলের পেছনে শরীর রাখতে হবে। কোন ফিল্ডিংয়ের সময় শরীর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এই বিষয়গুলো বুঝতে হবে। তবে ঠাণ্ডা পরিবেশে স্লিপে ফিল্ডিং করা কিছুটা চাপের হয়ে যায়।"

বুমরা গত বছরের শুরু থেকে লাল বলের ক্রিকেটে ১৫.৮ গড়ে মোট ৭৮টি উইকেট নিয়েছেন। ছয়বার তাঁর ঝুলিতে পাঁচ উইকেট এসেছে। এই সময়ে বুমরা মোট ৪১০.৪ বল করেছেন। সেখানে তুলনা করলে দেখা যাবে এই সময়ে ভারতীয় দলের বাকি সব ফাস্ট বোলার মিলিয়ে এই সময়ে ৭০১.৪ ওভার বল করেছেন। নিয়েছেন ৮৪টি উইকেট। এই পরিসংখ্যান যেমন বুমরার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে দেয়, তেমনই তাঁর ওয়ার্কলোড বোঝাতেও যথেষ্ট।