লন্ডন: ইংল্যান্ড সিরিজের আগে রান পেলেন শুভমন গিল ও কে এল রাহুল। এছাড়া বল হাতে দারুণ পারফরম্য়ান্স করলেন শার্দুল ঠাকুর। ভারতীয় দল ও ভারতীয় এ দলের মধ্য়ে ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্য়াচ চলছে এই মুহূর্তে। চারদিনের এই ম্য়াচের প্রথম দিনে ভারতীয় দলের প্লেয়ারদের পারফরম্য়ান্স স্বস্তি দেবে টিম ম্য়ানেজমেন্টকে। গিল ও রাহুল দুজনেই অর্ধশতরান হাঁকালেন প্রস্তুতি ম্য়াচে।
নরদাম্পটনে হওয়া ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে আনঅফিশিয়াল টেস্টে দুটো ইনিংসে ১১৬ ও ৫১ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল। ইংল্যান্ডের মাটিতে গিলের গড় এখনও পর্যন্ত খুবই খারাপ। মাত্র ১৪.৬৬ গড়ে ৬ ইনিংসে ৮৮ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক এখনও পর্যন্ত। তিনটি ম্য়াচই এখানে খেলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৮। শার্দুল ঠাকুর প্রথম আনঅফিশিয়াল টেস্টে ২৭ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টের দুটো ইনিংসে ১৯ ও ৩৪ রান করেছিলেন। আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। লিডসে হতে চলেছে প্রথম টেস্ট।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়, তাও আবার দলের তিন তারকা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও আর অশ্বিনকে ছাড়া। চ্যালেঞ্জটা যে সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তরুণ ভারতীয় দল যে এই সফরটা বেশ উপভোগই করেছে, তা কিন্তু ভিডিওটি দেখেই সহজে বোঝা যায়।
প্রসঙ্গত, এই সিরিজ়ের প্রস্তুতি সারতে নীতীশ কুমার রেড্ডি, করুণ নায়ার, কেএল রাহুলরা আগেভাগেই ইংল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছেন। ভারতীয় 'এ' দলের হয়ে তাঁরা মাঠেও নেমেছেন। লক্ষ্য পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ইংল্যান্ড লায়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম আনঅফিসিয়াল টেস্টে যেখানে করুণ দ্বিশতরান করে নজর কেড়েছিলেন, সেখানে দ্বিতীয় টেস্টে নজর কাড়লেন কেএল রাহুল। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন, তাঁর ব্যাট থেকে আসল ঝাঁ চকচকে শতরান।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয় প্রোটিয়াদের
এদিকে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে খেতাব ঘরে তুলল প্রোটিয়া বাহিনী। ১৯৯৮ সালের পর আর কখনও আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন যা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তা তখন পরিচিত ছিল আইসিসি নক আউট ট্রফি নামে। সেই টুর্নামেন্টেই খেতাব জিতেছিল প্রোটিয়া বাহিনী। এর পর থেকে কখনও কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টেই খেতাব ঘরে তুলতে পারেনি তারা। ২০১৫ সেমিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল, ২০২৩ বিশ্বকাপে সেমিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হয়। কিন্তু এবার সেই অধরা মাধুরী ঘরে তুলল প্রোটিয়া শিবির।