দুবাই: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্য়াচ আজ। মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। চলতি টুর্নামেন্টে দুটো দলই তাঁদের দ্বিতীয় ম্য়াচ খেলতে নামবে রবিবার। উদ্বোধনী ম্য়াচে কিউয়িদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল আয়োজক পাক শিবির। সেই ম্য়াচে ৬০ রানে হেরে গিয়েছিল মহম্মদ রিজওয়ানের দল। অন্যদিকে ভারত তাঁদের প্রথম ম্য়াচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে হেসেখেলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্রথম ম্য়াচে। সেক্ষেত্রে আজকের ম্য়াচে জিতলেই ভারত সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করে নেবে।
২ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর পরস্পর মুখোমুখি লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের অস্ত্রে শান দিচ্ছে। ভারতীয় দলে বিরাট কোহলির চোট কিছুটা চিন্তা বাড়িয়েছে টিম ম্য়ানেজমেন্টকে। অনুশীলন আইস প্যাক লাগিয়ে ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে কোহলিকে। অনেকেই বলছেন অবশ্য যে কোহলির চোট গুরুতর নয়। তবে বোলিং ডিপার্টমেন্টে একটি বদল হয়ত পাকা। হর্ষিত রানার পরিবর্তে দলে ঢুকে পড়তে পারেন অর্শদীপ সিংহ। দিল্লির পেসার ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে নিজের সেরা স্পেল করেছেন আগের ম্য়াচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু পাঞ্জাব পেসার অর্শদীপের স্কিল কিছুটা আলাদা করেছে তাঁকে। ২০২২ বিশ্বকাপে বাবর আজমকে ফিরিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নতুন বলে স্যুইং করাতে ওস্তাদ অর্শদীপ। এছাড়া গত বিজয় হাজারে ট্রফিতে ২০ উইকেট নিয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারিও অর্শদীপই।
এদিকে, পাকিস্তান শিবিরেও ধাক্কা। অভিজ্ঞ ফখর জামানকে আর গোটা টুর্নামেন্টেই পাওয়া যাবে না। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের নায়ক ফখর চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছে গোটা টুর্নামেন্ট থেকে। তাঁর পরিবর্তে এই ম্য়াচে ঢুকে পড়বেন আরেক বাঁহাতি ওপেনার ইমাম উল হক। ২৯ বছরের এই ব্যাটার দেশের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত ৭২টি ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতাও রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্য়াচের সময়ই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ফখর। তার পরই পিসিবির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ফখরকে আর গোটা টুর্নামেন্টে পাওয়া যাবে না।
রবিবাসরীয় মহাদ্বৈরথের পিচেই দিন দু'য়েক বাংলাদেশকে দুরমুশ করেছে টিম ইন্ডিয়া। অপরদিকে, নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাবর আজম রান পেলেও, তাঁর স্ট্রাইক রেটের কারণে তিনি সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তবে ব্যবহৃত, মন্থর গতির পিচে রবিবার বাবরের টেকনিক্যাল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দুইই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে এই পিচে স্পিনারদের ভূমিকা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ।