ডারবান: এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর ফের প্রোটিয়াদের মুখোমুখি ভারত। বিশ্বকাপ ফাইনালের রেশ থাকবে এই ম্যাচে?


ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলছেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকার দল একই রয়েছে। শুধু কুইন্টন ডি’কক ও নাথান কুল্টার নাইল মনে হয় নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলা সব সময়ই কঠিন। সে টি-২০ বিশ্বকাপ হোক বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সব জায়গাতেই ওদের বিরুদ্ধে খেলা উপভোগ করি। আগেরবার যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেছিলাম, দারুণ সিরিজ হয়েছিল। আশা করছি ডারবানে কাল ম্যাচ হবে। আগেরবার এই মাঠে খেলা হয়নি। উপভোগ্য সিরিজ হবে। দুই দলের কাছেই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করার মতোই।'


তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দলের তরুণ ক্রিকেটারদের কীভাবে সামলাচ্ছেন? হেসে স্কাই বলেন, 'আমিও তরুণ।' যোগ করেন, 'সকলকে মানিয়ে গুছিয়ে তৈরি করা একেবারেই কঠিন নয়। কারণ আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাই, সেটাই ওরা খেলে। এই ফর্ম্যাটে যেটা চাই, সেভাবেই খেলছে। আমি শুধু ছেলেদের বলি, দলের স্বার্থ সকলের আগে। দলের জন্য যেটা ভাল মনে হবে মাঠে গিয়ে করো। তারপর তো আমরা আছিই সবরকম সমর্থনের জন্য। সমর্থন করে যাব। একে অপরের সঙ্গে সুমধুর সম্পর্ক। সব কিছু যখন ভাল চলছে তখন ঘেঁটে লাভ কী! সকলে মিলে আমার কাজ সোজা করে দিয়েছে। সকলেই জানে তাদের কী কাজ। নিজের রাজ্য দলের হয়ে বা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে যা করেছে, সেটাই করছে ভারতীয় দলেও। শুধু জার্সির রং পাল্টে যায়। আবেগ বেড়ে যায়। কিন্তু যে ধরনের ক্রিকেট খেলছে, সেটাই খেলতে হবে। সেটাই দেখতে ভাল লাগে।'


দক্ষিণ আফ্রিকায় পিচ, পরিবেশ, পরিস্থিতি আলাদা। কৌশল কী হবে? স্কাইয়ের কথায়, 'গত কয়েক বছর ধরে যা করে আসছি, সেটাই করব। টি-২০ বিশ্বকাপ সহ এই ফর্ম্যাটে যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছি, সেটাই অনুসরণ করব। আইপিএল বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যা করেছি, তাই করব। কোনও তফাত হবে না। ভারতেও আমরা এখন বাউন্সি গতিসম্পন্ন পিচে খেলি। গত বছর আমরা এখানে খেলেছিলাম। উইকেট, পরিবেশ, পরিস্থিতি নিয়ে জানি। আমরা মুখিয়ে রয়েছি মাঠে নামার জন্য।'


আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে রোহিত-কোহলিদের বিপর্যয়ের নেপথ্যে হুগলির এক বাঙালি!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।