কলকাতা: ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। হয়ে গেলেন ক্রিকেটার। বাংলার জার্সিতে রঞ্জি ট্রফির অভিষেক ম্যাচেই উইকেটও তুললেন ঋষভ বিবেক। জলপাইগুড়ির পেসারের জন্য শক্তিশালী কর্নাটককে চাপে ফেলে দিয়েছে বাংলা।
২০২১ সালে পলিটেকনিক উত্তীর্ণ হন বিবেক। তবে ক্রিকেটের টানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কেরিয়ার বিসর্জন দেন। সিএবি-র স্থানীয় লিগে খেলেন তপন মেমোরিয়ালের হয়ে। বাংলা দলে এবারই সুযোগ পেয়েছেন। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কর্নাটকের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে অভিষেক। বৃহস্পতিবার বল করার সুযোগ পেয়েই তুলে নিলেন জোড়া উইকেট। যার মধ্যে একটি উইকেট মণীশ পাণ্ডের।
বিবেকের পাশাপাশি জোড়া উইকেট পেয়েছেন সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল। একটি উইকেট ঈশান পোড়েলের। বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ৩০১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে কর্নাটকের স্কোর ১৫৫/৫।
তবু দিনের শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ বাংলা শিবিরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ঈশান পোড়েলের বলে কর্নাটকের ওপেনার কিষাণ বেদারে শুরুতেই আউট ছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার নিশ্চিত কট বিহাইন্ডের আবেদন নাকচ করে দেন। শুরুতেই বেদারে ফিরলে কর্নাটককে আরও চাপে ফেলা যেত বলেই মত বাংলা শিবিরের।
নিজেদের ব্যাটিং নিয়েও অখুশি লক্ষ্মীরতন শুক্ল। প্রথম দিনের খেলার শেষে বাংলার স্কোর ছিল ২৪৯/৫। সেখান থেকে আর মাত্র ৫২ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলা। শাহবাজ আমেদ ৫৯ করে ফেরেন। রান পাননি ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন বেঙ্গালুরু থেকে মোবািল ফোনে বললেন, 'আমাদের ব্যাটিং আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। আমরা কিছুটা রান কম করেছি। শেষের দিকে পরপর উইকেট পড়েছে।'
পাশাপাশি বোলাররা উইকেট পেলেও বাড়তি রান খরচ হয়েছে বলেও আক্ষেপ লক্ষ্মীর। বললেন, 'আমরা আরও কম রান দিতে পারতাম আজ। ৩০-৪০ রান বাড়তি দিয়েছি। আরও কম রান করতে দিলে চাপ বাড়ানো যেত।'
ময়ঙ্ক আগরওয়াল, মণীশ পাণ্ডেরা রান না পেলেও হাফসেঞ্চুরি করে ক্রিজে রয়েছেন অভিনব মনোহর। সঙ্গী শ্রেয়স গোপাল। বাংলার চেয়ে এখনও ১৪৬ রানে পিছিয়ে কর্নাটক। ম্যাচের বাকি ২ দিন। সরাসরি জয় সম্ভব? লক্ষ্মী বলছেন, 'আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই নামব। ছেলেরা ৬ পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাবে।'
আরও পড়ুন: দেশের মাটিতে রোহিত-কোহলিদের বিপর্যয়ের নেপথ্যে হুগলির এক বাঙালি!
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।