রায়পুর: প্রথম ম্য়াচ ৩৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রোটিয়াদের সামনে। দ্বিতীয় ম্য়াচে রায়পুরে ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বোর্ডে তুলল ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮। রুতুরাজ গায়কোয়াডের পর বিরাট কোহলির শতরান ও শেষে কে এল রাহুলের অপরাজিত অর্ধশতরানের ওপর ভর করে বোর্ডে ৩৫৮ রান তুলল ভারত। আজ জিতলেই সিরিজ ঝুলিতে পুরে নেবে ভারতীয় ক্রিকেট দল।

Continues below advertisement

টস হেরেছিলেন রাহুল। ভারত অধিনায়কের ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে টস হারাটা এখন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে টস হারার য়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে তা এখনও অব্যাহত ভারত অধিনায়কদের ক্ষেত্রে। প্রোটিয়া স্কোয়াড ফিরেছিলেন এদিন তেম্বা বাভুমা। তিনি টস জিতে ভারতকে ব্য়াটিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানান। আগের ম্য়াচে রোহিত শর্মা অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। এদিনও শুরু করেছিলেন বাউন্ডারির হ্যাটট্রি করে। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় ফিরে যান। যশস্বী জয়সওয়াল রান পাননি এই ম্য়াচেও। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন বিরাট কোহলি ও রুতুরাজ গায়কোয়াড। দুজনে মিলে বোর্ডে ১৯৫ রানের লম্বা পার্টনারশিপ গড়়েন। নিজের ওয়ান ডে ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন রুতুরাজ। অন্যদিকে রাঁচির পর রায়পুরেও ফের একবার শতরানের ইনিংস খেললেন বিরাট কোহলি। রুতুরাজ ১০৫ রানের ইনিংসে ১২টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। অন্য়দিকে বিরাট নিজের ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন।

শতরান পূরণের পর দুজনেই ফিরে যান এক এক করে। এরপর দলের হাল ধরেন কে এল রাহুল। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্য়াচে ব্যাট হাতে ৪৩ বলে অপরাজিত ৬৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন। জাডেজা ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। 

Continues below advertisement

নাগাড়ে ২০টি টস হার। ভাগ্য বদলের জন্য নাকি অনুশীলনও করছেন কেএল রাহুলটসের সময় রাহুলকে বলতে শোনা যায়, 'সত্যি বলতে, এই টসের সময়ই আমি সবথেকে বেশি চাপে থাকছি। এই জন্য অনুশীলনও করছি, তবে তা কাজে লাগছে না।' তিনি ম্যাচপ্রসঙ্গে বলেন, 'গত ম্যাচে আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। আমরা জানি কী আশা করা যায় , না যায়, দলের সকলেই কিন্তু বেশ ভাল ছন্দে রয়েছে। এই সময়ে ভারতে শিশিরের প্রভাবটা বেশি করে লক্ষ্য করা যায়বোলাররা সেই প্রভাবটা এড়ানোর জন্য কথাবার্তা বলে পরিকল্পনাও তৈরি করেছে। তাছাড়া গত ম্যাচ জিতে তো আমাদের আত্মবিশ্বাস নিঃসন্দেহেই বেড়েছে।'