বিশাখাপত্তনম: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের (IND vs ENG 2nd Test) চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের শেষ লগ্নে পরপর ওভারে জোড়া সাফল্য পেয়ে সেশন নিজেদের নামে করল ভারতীয় দল। ইংল্যান্ড দল ১২৭ রান যোগ করলেও, ভারত এই সেশনে পাঁচ উইকেট তুলে নিল। ভারতীয় স্পিনাররাই নিলেন চার উইকেট।
এক উইকেটের বিনিময়ে ৬৭ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন জ্যাক ক্রলি ও নাইট ওয়াচম্যান হিসাবে নামা রেহান আমেদ। ইংল্যান্ড যে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে জয়ের জন্য খেলবে, তার পূর্বাভাস ছিলই। সেইমতোই স্পিনারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করা শুরু করেন রেহান, ফাস্ট বোলারদের সামলান ক্রলি। তবে অক্ষর পটেল রেহান আমেদকে ২৩ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন।
এরপর ক্রলিকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন প্রথম টেস্টের শতরানকারী অলি পোপ। ৮৩ রানে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ইংল্যান্ড ওপেনার ক্রলি। দুইজনে ৩৭ রানের পার্টনারশিপও যোগ করে ফেলেন। তবে স্লিপে দুরন্ত রিফ্লেক্সের প্রদর্শন দিয়ে অনবদ্য এক ক্যাচ ধরেন রোহিত শর্মা। ২৩ রানে অশ্বিনের বলে ফেরেন পোপ। জো রুটও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। অশ্বিনের বিরুদ্ধে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা দেন। কেরিয়ারের ৪৯৯তম টেস্ট উইকেটটি পান অশ্বিন।
অপরপ্রান্ত থেকে উইকেট পরলেও ক্রলি নিজের ব্যাটিং, শট নির্বাচনে প্রভাবিত করেন। দুশো রানের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল ইংল্যান্ড দল। ক্রলির ব্যাটে চেপেই জয়ের স্বপ্ন বুনছিল তাঁরা। তবে মধ্যাহ্নভোজের আগেই দুরন্তভাবে ভারত ম্যাচে ফেরে। পরপর ওভারে ক্রলি ও বেয়ারস্টোকে যথাক্রমে কুলদীপ যাদব ও যশপ্রীত বুমরা সাজঘরে ফেরান। ১৯৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড।
ক্রিজে উপস্থিত দুই ব্যাটার বেন স্টোকস এবং বেন ফোকসের কেউই এখনও খাতা খুলতে পারেননি। ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিততে হলে এই পার্টনারশিপের বড় রান করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও কার্যত হারা ম্যাচ একা হাতেই জিতিয়েছেন স্টোকস। এই ম্যাচেও তাঁর ব্যাট জ্বলে ওঠে কি না, সেটা কিন্তু দেখার বিষয় হবে। অশ্বিন ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন কি না, সেইদিকেও ভারতীয় সমর্থকরা নজর রাখবেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: পরপর ব্যর্থতা সত্ত্বেও বাড়তি চাপ ছিল না, দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই দাবি গিলের