রাঁচি: ভারতের জোড়া বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তিনি । জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও (Champions Trophy) । তিনিই ভারতের একমাত্র অধিনায়ক, যাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিন-তিনটি আইসিসি ট্রফি । তাঁর নেতৃত্বে টেস্টেও এক নম্বর ব়্যাঙ্কিং পেয়েছিল ভারত । অধিনায়ক হিসাবে জিতেছেন পাঁচটি আইপিএল ট্রফি । মাঠে কঠিন পরিস্থিতিতে হিমশীতল থাকতে পারেন বলে গোটা বিশ্ব তাঁকে কুর্নিশ করে ক্যাপ্টেন কুল নামে ।

কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) সেই 'ক্যাপ্টেন কুল' তকমার স্বত্ব এবার থেকে থাকতে পারে শুধু ধোনির ব্যবহারের জন্যই । ক্যাপ্টেন কুল তকমার স্বত্ব সমস্ত রকম ট্রেনিং বা কোচিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ধোনির নামেই থাকবে । ধোনির আইনজীবী মানসী আগরওয়াল জানিয়েছেন, খেলাধুলো সংক্রান্ত ট্রেনিং, কোচিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য 'ক্যাপ্টেন কুল' ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন ধোনি । ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রি পোর্টাল অনুযায়ী, সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে । গত ১৬ জুন সরকারিভাবে ট্রেডমার্কস জার্নালে 'ক্যাপ্টেন কুল' ট্রেডমার্ক প্রকাশ করা হয়েছে ।

আর চার মাস অপেক্ষা করতে হবে ধোনি ও তাঁর আইনজীবীকে । নিয়ম বলছে, সেই চার মাসের মধ্যে 'ক্যাপ্টেন কুল' ট্রেডমার্ক নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রয়েছে । যদি কেউ চ্যালেঞ্জ না করেন, তাহলে 'ক্যাপ্টেন কুল' ট্রেডমার্কের সম্পূর্ণ রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে ধোনির নামেই । ধোনি সম্পূর্ণ স্বত্বাধিকার পেয়ে যাবেন । কেউ বিরোধিতা না করলে আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ ধোনির নামেই 'ক্যাপ্টেন কুল' ট্রেডমার্কের স্বত্ব নথিবদ্ধ হয়ে যেতে পারে ।

যদিও ধোনির আইনজীবী জানিয়েছেন, 'ক্যাপ্টেন কুল' তকমাটিকে ট্রেডমার্ক করার কাজ সহজ ছিল না । যখন ধোনির পক্ষ থেকে প্রথম ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করে, তখন টেডমার্ক আইনের ১১ (১) ধারায় আপত্তি উঠেছিল । এই একই ধরনের ট্রেডমার্ক যেহেতু ইতিমধ্যেই রেকর্ডে রয়েছে, তাই বিভ্রান্তি তৈরি হয়ে থাকতে পারে । তখন ধোনির আইনজীবীর তরফ থেকেও বলা হয়, এই নামটি ধোনির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত । বহুদিন ধরেই ধোনিকে এই নামে ডেকে এসেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব । এই নামটি কার্যত ধোনির সঙ্গে সমার্থক হয়ে গিয়েছে । তাছাড়া 'ক্যাপ্টেন কুল' ট্রেডমার্কটি শুধুমাত্র খেলা ও বিনোদনের দুনিয়াতেই ব্যবহার হবে । যেহেতু এই ক্ষেত্রে নামটির স্বত্ব অন্য কোথাও নেই । তাই বিভ্রান্তির প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান ধোনির আইনজীবী ।