মুম্বই: টেস্টের পর ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে ভারতের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শুভমন গিল। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে একে একে তিনটি ফর্ম্য়াটেই জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করেছেন। চলতি বছরই টেস্ট ফর্ম্য়াটে ইংল্য়ান্ড সফরের আগে শুভমনকে অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আর অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে এখনও গিল ক্যাপ্টেন নন। তিনি সহ অধিনায়ক। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে কুড়ির ফর্ম্য়াটে খেলছে ভারতীয় দল।
গিলের নেতৃত্বে আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স খেলছে। ভাল ফলও করছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেক্ষেত্রে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটেও কি পরবর্তীতে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হবে গিলের হাতে? নেতৃত্ব হারানোর ভয় পান সূর্যকুমার? মুম্বইয়ের ডানহাতি ব্যাটার বলছেন, ''আমি গিলের জন্য বিরাট খুশি। ও দুটো ফর্ম্য়াটে নেতৃত্বভার সামলাচ্ছে। দারুণ পারফর্ম করেছে ও ইংল্যান্ডে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে। সত্যি বলতে আমি মিথ্যে কথা বলতে চাই না। একটা ভয় কাজ করে। কিন্তু এই ভয়টাই আমাকে আরও উদ্বুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত।''
গিলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, ''আমার ও শুভমনের মাঠে ও মাঠের বাইরে সম্পর্ক দুর্দান্ত। আমি জানি শুভমন কেমন ধরণের মানুষ। আমি ওর জন্য খুবই খুসি।''
এদিকে, দেশের জার্সিতে অধিনায়ক থাকলেও আইপিএলে কখনও পাকাপাকিভাবে নেতৃত্বভার সামলাতে দেখা যায়নি সূর্যকুমারকে। তাহলে কেন আইপিএলে ব্রাত্য ডানহাতি মুম্বই ব্য়াটার? এক সাক্ষাৎকারে সূর্যকুমার বলেন, ''আমি কখনওই অধিনায়ক হওয়ার ইস্যুতে কিছুই ভাবিনি। কারণ আমি যখন আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলছিলাম, সে সময়েও আমি ভাবিনি যে ক্যাপ্টেন হব কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির। এমনকী আমি জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে নেতৃত্ব পাওয়ার পরও এমনটা কখনও ভাবিনি। এটা কোথাও লেখা নেই যে জাতীয় দলের জার্সিতে অধিনায়কত্ব করলে তাঁকে আইপিএলেও ক্যাপ্টেন্সি করতে হবে।''
তিনি আরও বলেন, ''আমি রাজ্য দলের জার্সিতে যখন খেলি, তখন গত মরশুমে যেমন অজিঙ্ক রাহানে ক্যাপ্টেন ছিল। আর টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে শ্রেয়স আইয়ার ক্যাপ্টেন ছিল। আমি ওঁদের নেতৃত্বেই খেলেছিলাম। আমি কখনওই দলে এসে বলিনি যে আমি ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন, তাই আমাকে রাজ্য দলের জার্সিতে ক্যাপ্টেন্সি পেতে হবে। অন্য় কারও নেতৃত্বেও খেলাই যায়। সেখান থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়।''