মুম্বই: টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে অভিষেকেই চমক দিয়েছিলেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জোফ্রা আর্চারকে। এখনও টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের অন্য়তম সেরা ব্যাটার তিনি। এবার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও নতুন মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন সূর্যকুমার যাদব। মুম্বই ক্রিকেটের হয়ে কুড়ির ফর্ম্যাটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এখন স্কাই। যে রেকর্ড গড়তে পারেননি হিটম্যান রোহিত শর্মাও। সেই নজিরও গড়লেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি টেক্কা দিলেন আদিত্য তারেকে।
মুম্বইয়ের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে খেলতে নেমে ১৭১৭ রান করেছেন সূর্যকুমার যাদব। ৭১ ম্য়াচে এই রান করছেন স্কাই। মোট ১৪৫ এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্য়াটিং করেছেন তিনি। ৯টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯৪। এই মুহূর্তে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে খেলছেন বর্তমানে সূর্যকুমার। সেখানে কেরলের বিরুদ্ধে ২৫ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি ব্যাটার। এই তালিকায় এতদিন সবার আগে ছিলেন আদিত্য তারে। তিনি ১৭১৩ রান করেছেন ৬৮ ম্য়াচে। শ্রেয়স আইয়ার ৫৪ ম্য়াচে ১৭০৬ রান করেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্য়াচেও সূর্যকুমারের রেকর্ড কিন্তু বেশ ঈর্ষণীয়। এখনও পর্যন্ত ৯৫ ম্য়াচে ২৭৫৪ রান করেছেন। ১৬৪-র ওপর স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন। ৪টি শতরানও ঝুলিতে রয়েছে। ২১টি অর্ধশতরান করেছেন। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সূর্য। ১৬৬ ম্য়াচে ৪৩১১ রান করেছেন এখনও পর্যন্ত।
সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি জিতেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। আগামী বছর দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সূর্যই দলের নেতৃত্বভার সামলাবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ এ-তে ভারত ও পাকিস্তান দুটো দলই রয়েছে। দুটো দেশের লড়াই গত দু বছর ধরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হয়ে আসছে। ঠিক তেমনই শ্রীলঙ্কার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতীয় সময়ে সন্ধে ৭টা থেকে শুরু হবে খেলা।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেভাবে খেলা হয়েছিল, সেই ফর্ম্য়াটেই আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। চারটি গ্রুপের প্রত্যেকটি গ্রুপ থেকে প্রথম দুটো দল সুপার আটে জায়গা করে নেবে। এরপর সেখান থেকেই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে। ভারত ও পাকিস্তান দুটো দলই যদি গ্রুপ এ থেকে সুপার এইটে জায়গা করে নেয়, তাহলে সেখানেও যদি দুটো দল একই গ্রুপে জায়গা করতে পারে, তারা দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। এরপর নক আউট পর্ব থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে জায়গা করে নেয় দুটো দল, তাহলে ফের একবার ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে পারে।