বেঙ্গালুরু: আইপিএলকে (IPL 2024) বিদায় জানিয়েছেন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে প্লে অফে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন। সেই ম্য়াচে হেরে আরসিবির খেতাব জয়ের স্বপ্ন আরও একবার ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু ম্য়াচের পরই ক্যামেরা বারবার একজনের দিকে তাক করছিল। তিনি দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। ধোনি জমানার তখনও শুরু হয়নি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল কার্তিকের। যদিও ধোনির (MS Dhoni) দাপুটে পারফরম্য়ান্সের জন্য সেভাবে একাদশে সুযোগ মেলেনি জাতীয় দলের জার্সিতে। আইপিএলে মোট ৬ টি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন। ২০২২ সালের নিলাম থেকে আরসিবি সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যে কার্তিককে দলে নিয়েছিল। কেরিয়ারের শেষ আইপিএল ম্য়াচটিও খেললেন আরসিবির জার্সিতেই। 


জাতীয় দলের জার্সি হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। কার্তিকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। ২২ গজের বাইরে তাঁদের বন্ধুত্বও অটুট। এবার কার্তিকের অবসরে তাঁকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ বিরাট কোহলি। আরসিবিতে এক ড্রেসিংরুমে আর ২ বন্ধুকে দেখতে পাওয়া যাবে না। মাঠে একসঙ্গে নেমে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ছক কষতে দেখা যাবে না। রাজস্থান ম্য়াচের দিন কার্তিককে জড়িয়ে ধরেছিলেন বিরাট। বিরাটের নেতৃত্বেই অভিজ্ঞ উইকেট কিপার ব্যাটারকে গার্ড অব অনারও দেওয়া হয়। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক বলেন, ''প্রথমবার যখন আমি দীনেশ কার্তিককে দেখেছিলাম, সালটা খুব সম্ভবত ২০০৯। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়েছিলাম আমরা। দেখছিলাম যে সারাক্ষণ একটা ছেলে এদিক-ওদিক করে যাচ্ছে। এক জায়গায় স্থির থাকত না কখনও। এটাই ছিল ওকে নিয়ে আমার প্রথম ধারণা।''


বিরাট আরও বলেন, " আসাধারণ একজন প্রতিভা ওঁ। ক্রিজের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে কার্তিকের খেলা ভীষণভাবে উপভোগ করি আমি। শুধু ক্রিকেটই নয়। আরও অন্যান্য নানা বিষয় জ্ঞান রয়েছে। আমি ২০২২ সালে একেবারেই ভাল খেলতে পারছিলাম না। আইপিএলে রানও পাইনি। সেই সময় ওঁর সঙ্গে বসে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তাতে আমার অনেক উপকারও হয়েছে। শুরুর দিনের কার্তিক আর এখনের মধ্যে তফাৎ বলতে আমি বলব এখন ওঁ অনেক ধীর স্থির ও ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের হয়ে গিয়েছে।''


উল্লেখ্য়, ২০২১ পর্যন্ত কেকেআর দলের অধিনায়ক ছিলেন কার্তিক। কিন্তু ফর্ম খারাপ থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেয় নাইট শিবির। এরপরের মরশুমেই আরসিবিতে যোগ দেন। সেই বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ধারাবাহিক পারফরম্য়ান্স করার জন্য। ফাফ ডু প্লেসির নেতৃত্বে গত ২ মরশুমেও উইকেটের পেছনে হোক বা ব্যাট হাতে ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব হোক, দক্ষতার সঙ্গেই সামলেছে।