লন্ডন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে লর্ডস টেস্টের পরই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। ২১ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় জানিয়েছিলেন জেমন অ্যান্ডারসন (James Anderson)। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ফের ইংল্যান্ড শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন এই কিংবদন্তি এই তারকা পেসার। তবে কি ফের জাতীয় দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন অ্যান্ডারসন? আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেন্টব্রিজের, নটিংহ্যামে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হতে চলেছে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় টেস্ট থেকে জেমন অ্য়ান্ডারসন নতুন ভূমিকায় থাকবেন। ইংল্য়ান্ড ক্রিকেট দলের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডারসন। বাকি দুটো টেস্টে ইংল্য়ান্ডের বোলারদের ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়া ও অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডারসন। ৪১ বছরের অ্যান্ডারসন তাঁর কেরিয়ারের টেস্টে মোট ৭০৪ উইকেট নিয়ে শেষ করেছিলেন। শেষ ম্য়াচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই তারকা প্রাক্তন পেসার। মুত্থাইয়া মুরলিথরণ ও শেন ওয়ার্নের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যান্ডারসন।
লর্ডস টেস্টে ইংল্য়ান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১১৪ রানে হারিয়ে দেয়। জেমস অ্যান্ডারসনের বিদায়বেলায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সচিন তেন্ডুলকর লিখেছিলেন, ''হে জিমি। ২২ বছরের স্পেলে তুমি গোটা বিশ্বের দর্শকদের বোল্ড করেছেন। এই শুভেচ্ছাবার্তাটা আপনার জন্য। তোমার ফিটনেস, স্পিড, স্যুইং, অ্যাকশন নিয়ে বল করতে দেখাটা দরুণ আনন্দের ছিল। তুমি নিজের খেলার মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছো। এরপর তুমি তোমার পরিবারের সঙ্গে থাকা সময় কাটানোর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্পেলটা করতে যাচ্ছ। তার জন্য তোমার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ুর এবং আনন্দ কামনা করি।''
পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম লেখেন, 'আপনার কাটারের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করাটা দারুণ গর্বের। সর্বকালের সেরাদের একজনকে এই খেলা মিস করবে। এই খেলার জন্য আপনি যা যা করেছেন, তা অবর্ণনীয়, কুর্নিশ পাওয়ার যোগ্য। আপনাকে ভীষণ সম্মান করি। গোট।'' যুবরাজ নিজের শুভেচ্ছাবার্তায় স্পষ্টই জানান যে জেমস অ্যান্ডারসনের মতো অ্যাথলিট কালে ভদ্রে একবারই আসেন। ডেল স্টেইন তো অ্যান্ডারসনের ম্যাচ দেখতে সশরীরে হাজির ছিলেন। তিনিও কিংবদন্তি বোলারের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে ২০১৫ সালের পর থেকে আর খেলেননি অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের সাদা বলের ফর্ম্য়াটে অ্যান্ডারস ও ব্রডকে আর ভাবেননি নির্বাচনকরা। টেস্টে যদিও এই জুটি খেলে যাচ্ছিলেন। ব্রড কয়েক মাস আগেই অবসর নিয়েছিলেন। এবার জিমিও সরে দাঁড়ালেন।