ব্রিসবেন: পারথে ভুগিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটারদের। অ্যাডিলেডে তিনি ছিলেন না। ফের ব্রিসবেন টেস্টে দলে ফিরেই টিম ইন্ডিয়ার টপ অর্ডারে ভাঙন ধরিয়েছেন। তবে ভারতীয় শিবির এই খবর পাওয়ার পর কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে। কাফ স্ট্রেনের জন্য হয়ত পুরো বর্ডার গাওস্কর ট্রফি সিরিজ থেকেই ছিটকে যেতে পারেন জশ হ্যাজেলউড। চতুর্থ দিনে মাত্র এক ওভার বল করতে পারলেন তিনি।


গাব্বায় চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করছিলেন। সেখানেই চোট অনুভব করেন জশ। পরে একটি ওভার বলও করেছিলেন। কিন্তু অস্বস্তি অনুভব করায় খেলার মাঝেই মাঠ ছাড়েন। পরে স্ক্যান করা হয় অজি পেসারের। এরপরই বোঝা যায় যে কাফ মাসলের চোটে ভুগছেন তারকা পেসার। মঙ্গলবার হ্যাজেলউডের বলের স্পিডও অনেক কমে যায়। যে ওভারটি বল করেছিলেন সেই ওভারে মাত্র ১২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে বল করেছিলেন। এরপরই কামিন্স, স্মিথের সঙ্গে কথা বলেন। মাঠে দৌড়ে আসেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ফিজিওথেরাপিস্ট নিক জোন্স। গোটা ম্য়াচে ৬ ওভার বল করলেন অজি পেসার। আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে এই ম্য়াচ ড্রয়ের দিকে যাচ্ছে। তাই এই টেস্টে হ্যাজেলউডের অভাব হয়ত সেভাবে বোধ করতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মেলবোর্ন টেস্টে তাঁকে মিস করবে দল। অ্য়াডিলেডে হ্যাজেলউড না খেলায় দলে এসেছিলেন স্কট বোল্যান্ড। এমসিজিতেও হয়ত বোল্য়ান্ড ফিরছেন একাদশে।


এদিকে, টেস্টের পঞ্চম দিনে সকাল থেকে খেলা শুরু হওয়ার পর চারটি ওভার ক্রিজে কাটাতে পেরেছিলেন ভারতের শেষ জুটি আকাশ দীপ ও জসপ্রীত বুমরা। শেষ পর্যন্ত এদিন আর ৮ রান যোগ করতে পারেন আকাশ-বুমরা। ভারত ২৬০ রানে অল আউট হয়ে যায়। শেষ উইকেট হিসেবে হেডের বলে স্টাম্পড হয়ে প্যাভিলিয়ন ফেরেন আকাশ দীপ। ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন টিম ইন্ডিয়ার এই পেসার। বুমরা অপরাজিত থেকে যান। ভারত প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে পিছিয়ে।


তৃতীয় দিনের শেষ উইকেটে বুমরাকে ক্রিজে সঙ্গ দিতে আকাশ দীপ যখন ব্যাট হাতে নামেন, তখন ভারতের স্কোর ২১৩ রান। দিনের শেষে দশম উইকেটে দুই ব্যাটার ৩৯ রান যোগ করে অপরাজিত অবস্থাতেই সাজঘরে ফেরেন। এটা কিন্তু গাব্বায় দশম উইকেটে ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। সেই অর্থে আকাশদীপ ও বুমরা কিন্তু ব্রিসবেনে ইতিহাস গড়লেন। বিগত চার বছরে শেষ উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চও বটে। বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের বিলেতের মাটিতে ৫০ রানের পার্টনারশিপ এই তালিকায় সর্বোচ্চ। এদিন আর আট রান যোগ করেন তাঁরা।