কর্ণাটক: আইপিএলের মঞ্চে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল ছিল। দলের মালিক খেলার শেষে মাঠেই অত্য়ন্ত বাজভাবে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন তাঁরই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিককে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেই ম্য়াচের আগে প্লে অফে যাওয়ার কিছুটা আশা ছিল লখনউয়ের। কিন্তু সেই ম্য়াচও হেরে প্লে অফের দৌড় শেষ হয়ে গিয়েছিল লখনউয়ের। এরপরই মাঠেই রাহুলকে ভর্ৎসনা করতে দেখা যায় গোয়েঙ্কাকে। কিন্তু সেই ছবি একেবারেই ভালভাবে নেয়নি ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশেষ করে কে এল রাহুল তো এরপর প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলেন যে তিনি আর লখনউয়ের জার্সিতে খেলবেন না। এতদিন মুখে কিছু না বললেও রিটেনশনে রাহুলের নাম না থাকায় সেই ছবি আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। নিলামের টেবিলে উঠতে চলেছেন কর্ণাটকী ব্যাটার। আর তার আগে প্রথমবার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কে এল। 


বর্ডার গাওস্কর ট্রফি খেলতে উড়ে যাওয়ার আগে রাহুল বলেন, ''মাঠে সেদিন যা কিছু হয়েছিল তা একেবারেই কাম্য ছিল না। এটা ক্রিকেটের জন্য ভাল উদাহরণ হতে পারে না। ক্রিকেট মাঠে এমন দৃশ্য় দেখতে কেউই পছন্দ করবেন না। আমার মনে হয়েছিল, এই ঘটনা পুরো দলের পারফরম্য়ান্সে প্রভাব ফেলেছিল।'' উল্লেখ্য, সেদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৬৫ রান তুলেছিল লখনউ। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৯.৪ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই বোর্ডে তুলে নেয় হায়দরাবাদ। প্রায় একপেশে সেই ম্য়াচ জিতে গিয়েছিল অরেঞ্জ আর্মি। 


রাহুল দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। দেশের জার্সিতে দীর্ঘদিন ধরেই খেলছেন। আইপিএলে লখনউ সুপারজায়ান্টসের অধিনায়ক হিসেবে গত তিন বছর ধরে খেলছেন তিনি। এর আগে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের নেতৃত্বভারও সামলেছেন রাহুল। ফলে ২২ গজে বেশ অভিজ্ঞ এই ডানহাতি কর্ণাটকী। এত কিছুর পরও  এভাবে ২২ গজের একজন সম্মানীয় ক্রিকেটারকে সর্বসমক্ষে অপমান কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ক্রীড়াপ্রেমীরা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ভর্ৎসনা ছাড়াও রাহুলকে অতি দ্রুত লখনউ শিবির ছেড়ে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন অনেকেই। সেই সম্ভাবনা সত্যি করেই লখনউ শিবির ছেড়েছেন রাহুল। এবার দেখার নিলামের টেবিল থেকে তাঁকে কোনও দল নেয়। 


আরও পড়ুন: ''তুই সবার জন্য ত্যাগ করেছিস, এখন তোর সময়..'', ছলছল চোখে ফোনে হঠাৎ বার্তা যশস্বীর