কলকাতা: মরসুমে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। এই ম্যাচের আগেই ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। তাদের পরবর্তী ধাপে পৌঁছনোর আর কোনও সুযোগ নেই। অপরদিকে, সবুজ মেরুনের সামনে প্রথম চারে নিজেদের জায়গা পাকা করার সুযোগ। তবে ডার্বিতে যে লিগ অবস্থান, ফর্ম, কোনও কিছুরই তেমন গুরুত্ব নেই, তা ম্যাচের আগে দুই দলের কোচই মেনে নিচ্ছেন। তাই শনিবাসরীয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।


তারকাদের চোট


টানা সাতটি ডার্বি জিতে ইতিমধ্যেই ফুরফুরে মেজাজে জুয়ান ফেরান্দোর সবুজ মেরুন। গত ম্যাচে কার্ল ম্যাকহিউয়ের জোড়া গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ হারায় সবুজ মেরুন। তবে দুর্ভাগ্যবশত চোটের জন্য তিনি আজকের ডার্বিতে মাঠে নামতে পারবেন না। আবার, কার্ড সমস্যায় নেই ব্রেন্ডন হ্যামিলও। দুই তারকার অনুপস্থিতি ফেরান্দোর চাপ কিছুটা বাড়িয়েইছে বটে। পাশাপাশি লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্লেটন সিলভাও সবুজ মেরুন রক্ষণকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট। অবশ্য কোনও খেলোয়াড়ের জন্য বাড়তি কোনও পরিকল্পনা তৈরির পক্ষে নন ফেরান্দো। 


সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'ফুটবল তো দলগত খেলা। আমরা কোনও ব্যক্তিবিশেষকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাই না। প্রতিটি দলকেই আমাদের সম্মান করা উচিত। সিলভা এ মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন বটে, তবে আমার কাছে মাঠে নামা ২২জন খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ'।


অপরদিকে, সাম্প্রতিক অতীতে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের গ্রাফও খুব একটা বলার মত নয়। তবে, গত ম্যাচে এ মরসুমে প্রথম দল হিসাবে লিগ শিল্ডজয়ী মুম্বই সিটি এফসি-কে হারিয়ে সকলকে খানিকটা চমকেই দিয়েছে লাল হলুদ। সাম্প্রতিক ডার্বি-হারের দুঃস্বপ্ন ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ইস্টবেঙ্গল। লিগ তালিকায় সবুজ মেরুন অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও, ম্যাচে তারা ফেভারিট হিসাবে মাঠে নামবে বলে মনে করছেন না লাল হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। 


কঠিনতম ম্যাচ


ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে কনস্ট্যান্টাইন বলেন, 'প্রতিটি ম্যাচই কঠিন, তবে ডার্বি কঠিনতম ম্যাচ। সবাই কলকাতা ডার্বি জিততে চায়। আমার মনে হয় আমরা এই ম্যাচের জন্য ভালই প্রস্তুতিটা সেরেছি। এই দুই বড় ক্লাবের লড়াইয়ে কোনও দলই এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকে না। এই ম্যাচে ইচ্ছাশক্তিটাই আসল। প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত যে দল লড়াই করতে প্রস্তুত থাকবে, তারাই জিতবে। এই ম্যাচগুলিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় এবং ম্যাচে লিগের অবস্থানের কোনও গুরুত্ব নেই। সবকিছু বাদেও ডার্বি জয়টার কিন্তু একটা আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। ডার্বি জিতলে কলকাতার বুকে পরবর্তী দুই, তিন মাস সেই নিয়ে গর্ব করা যায়। আমাদের লক্ষ্য সেটাই।'


আরও পড়ুন: তৃতীয় টেস্টের আগে নয়াদিল্লিতেই অনুশীলন সারছে অস্ট্রেলিয়ান দল?