নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়া এবং ইনদওরে তৃতীয় টেস্ট (India vs Australia 3rd Test) শুরু হওয়ার মধ্যে বেশ অনেকটা ব্যবধান রয়েছে। ১ মার্চ শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট। তবে সেই টেস্ট শুরুর আগে খবর অনুযায়ী নয়াদিল্লিতেই নিজেদের অনুশীলন সারবে অস্ট্রেলিয়ান দল। 


নয়াদিল্লিতে অনুশীলন


এক সূত্র এএনআইকে জানান, 'অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গোটা অস্ট্রেলিয়ান দল অনুশীলন করতে এসেছিল। ওঁরা সকলে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা মতো অনুশীলনে গা ঘামান। অস্ট্রেলিয়া দল রবিবার নয়াদিল্লি থেকে ইনদওরের উদ্দেশে রওনা দেবে।' প্রসঙ্গত, সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের দু'টিতেই পরাজিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান দল। ভারত দুই টেস্ট জিতে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি (Border-Gavaskar Trophy) নিজেদের দখলেই রাখতে সক্ষম হয়েছে। অজি দল তাই সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যেই ইনদওরে মাঠে নামবে। সিরিজে অন্তত ড্র করতে হলেও বাকি দুই টেস্টেই জিততে হবে অজিদের।


এই সিরিজের ওপর নির্ভর করেই আবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে। অস্ট্রেলিয়া এখনও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। তবে ভারতের হাতে হোয়াইটওয়াশ হলে এবং নিউজিল্যান্ডকে শ্রীলঙ্কা ২-০ হারালে অস্ট্রেলিয়া কিন্তু ফাইনালে কোয়ালিফাই করতে পারবে না। তাই বাকি টেস্টে অজিদের পারফর্ম করাটা ভীষণই জরুরি। অবশ্য তৃতীয় টেস্টের আগে অজি দলে দুঃসংবাদ। দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ম্যাচের আগে দেশ থেকে ফিরতে পারছেন না। তাই স্টিভ স্মিথ অজি দলকে নেতৃত্ব দেবেন।  


ফিট তারকা অলরাউন্ডার


চোট আঘাতে জর্জরিত দলের একগুচ্ছ তারকা। তবে এতকিছুর মধ্যে অবশেষে একটি সুখবর পেলেন অজি সমর্থকরা। ইনদওরে ১ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা তৃতীয় টেস্টের আগে সম্পূর্ণ ফিট তারকা অলরাউন্ডার। প্রথম একাদশেও তাঁর ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। কে তিনি? তিন আর কেউ নন, ক্যামেরন গ্রিন (Cameron Green)। অজি তারকা নিজেই জানান যে তিনি '১০০ শতাংশ ফিট'। 


দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে চোট পেয়েছিলেন গ্রিন। তাঁর আঙুল ভেঙেছিল। সেই চোটের কারণেই এতদিন পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হয় গ্রিনকে। অবশ্য গ্রিন জানাচ্ছেন নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টেও তাঁর মাঠে নামার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। তবে অনুশীলনে ব্যাটিংয়ের সময় আঙুলে হালকা ব্যথা অনুভূত হওয়ায় তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি অজি ম্যানেজমেন্ট।


গ্রিন বলেন, 'আমার গত ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ ছিল বটে। তবে বাড়তি এক সপ্তাহ হাতে পাওয়ায় আমার সুবিধাই হয়েছে বটে। আমি মাঠে নামার জন্য ১০০ শতাংশ প্রস্তত। গত ম্যাচের আগে অনুশীলনে ব্যাটিং করার সময় কয়েকটি স্যুইপ মারতে গিয়ে আমায় আঙুলে বেশ ব্য়থা লাগছিল। এই বছরে আরও অনেক ম্যাচ বাকি রয়েছে। তাই সেই কথা মাথায় রেখে আমাদের মনে হয় যে একটা ম্যাচ যদি না খেলি, তাতে খুব বেশি পার্থক্য হয়তো হবে না। আর সিদ্ধান্তটাও সম্ভবত সঠিকই ছিল।'


আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ২ টেস্টের পিচকে 'অ্যাভারেজ' তকমা দিল আইসিসি