পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: রমরমিয়ে চলছে বিশ্বকাপ (ODI World Cup 2023)। কাল, রবিবার, ৫ নভেম্বর ক্রিকেটের নন্দন কাননে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হতে চলেছে। মেগা টুর্নামেন্টে সবথেকে ইনফর্ম দুই দলের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা, উন্মাদনা চরমে। বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই ভারতের কঠিনতম চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। এই মেগাডুয়েলের জন্য টিকিটের চাহিদাও তাই তুঙ্গে। সেই সুযোগেই দেদার টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার জেরেই গতকাল সিএবি (CAB) সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে (Snehashis Ganguly) নোটিস পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আজ ফের একবার ইডেনে বিশ্বকাপের টিকিটের কালোবাজারিকাণ্ডে স্নেহাশিসকে নোটিস পাঠাল কলকাতা পুলিশ। অবিলম্বে সংস্থার কোনও প্রতিনিধিকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল একই সঙ্গে টিকিট বুকিং সংস্থার প্রতিনিধিদেরও তলব করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। তাদের প্রতিনিধি হাজিরা দিলেও আসেননি বাংলার ক্রিকেট বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি। তাই ফের সভাপতি স্নেহাশিসকে নোটিস পাঠানো হয়ে বলে জানাল কলকাতা পুলিশ।
অভিযোগ ওঠে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।এক একটি টিকিটের জন্য নির্ধারিত মূল্যের প্রায় ১০ গুণ বা তাঁরও অধিক দাম চাওয়া হচ্ছে। গতকাল দমদম, গড়িয়া, বিবাদী বাগ, নেতাজি নগর সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা। ১১ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে মিলেছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৭৫টি টিকিট। এই কালোবাজারিকাণ্ডে নাম জড়ায় বাংলার ক্রিকেট বোর্ড ও টিকিট বুকিং সংস্থার। সেই কারণেই তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সিএবির তরফে কোনও প্রতিনিধি হাজির না হওয়ায় ফের বাধ্য হয়েই কলকাতা পুলিশকে আবার নোটিস পাঠাতে হল।
দ্বিতীয় দফার নোটিস নিয়ে সিএবি-র তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্য দিকে, টিকিটের কালোবাজারিকাণ্ডে বিশ্বকাপের গায়ে লেগেছে রাজনীতির রং। ইডেন গার্ডেন্সের সামনে গতকাল দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তরফে মাঠের সামনেই বিক্ষোভ দেখানো হয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিন্তু মনে করছেন টিকিটের কালোবাজারি কোনওভাবেই রোখা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয়।
প্রাক্তন সিএবি তথা বোর্ড সভাপতি বলেন, 'কালোবাজারির ওপর কারও হাত নেই। একমাত্র পুলিশ পারে নিয়ন্ত্রণ করতে। পুলিশ কমিশনার যদি রুখতে পারেন তাহলে হবে। পুলিশই পারে। সিএবি তো আর মহমেডান মাঠের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে নেই। এটা সর্বত্র হয়। ভারত বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলুক না। ১ লক্ষ ২০ হাজারের স্টেডিয়ামও ছোট লাগবে। মানুষের টিকিটের চাহিদাই এত। এটাকে কোনওভাবেই সামলানো যায় না। সবাই পাবে না। সবারই ইচ্ছে থাকে টিকিট পাওয়ার। কিন্তু আসন সংখ্যা তো ৬৭ হাজার। যে কিনবে সে পাবে।' অবশ্য এইসবের মাঝেই মহাদ্বৈরথের আগে কিন্তু উত্তেজনায় ফুটছে 'সিটি অফ জয়'। এবার অপেক্ষা শুধু ইডেনের ২২ গজে বল গড়ানোর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: ভারতীয় শিবিরে বিরাট ধাক্কা গোটা টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেলেন হার্দিক পাণ্ড্য